অনলাইন ডেস্ক
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের আবাসন প্রকল্পের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে অনেককেই প্লট দেওয়া হয়েছে, আবার অনেকে পেয়ে বিক্রিও করেছে। ওইভাবে না দিয়ে, সরকারিভাবে অনেক ফ্ল্যাট আমরা তৈরি করেছি। সেটা আপনি কিছু টাকা জমা দিয়ে কোনটা ১৬ বছর, কোনটা ২৬ বছর পর্যন্ত কিন্তু আস্তে আস্তে টাকাটা শোধ দেওয়া যায়। এবং এক সময় মালিক হওয়া যায়। সেই ভাবে আমরা কিন্তু অনেক ফ্ল্যাট তৈরি করেছি, এটা যদি সাংবাদিকরা চান আমরা কিন্তু আপনাদের জন্য তা ব্যবস্থা করতে পারি।’
সোমবার (১০ জুলাই) সকালে গণভবনে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত-নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের বলবো যে, তারা যদি এই ফ্ল্যাট কিনতে চান, সরকারি ফ্ল্যাট যেগুলো আমরা তৈরি করেছি, সেগুলো আমরা বিক্রি করছি। ন্যাপ সম্মেলনের জন্য যখন আমরা ফ্ল্যাট তৈরি করি, তখনি আমার একটা লক্ষ্য ছিল যে, আমাদের সম্মেলনগুলি হওয়ার পরে সেখানে আমরা আমাদের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আসলে তাদের তো কোনো চাকরির স্থায়িত্ব থাকে না। তারা হয়তো বয়োবৃদ্ধ হয়ে যায় কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন কি করে চলবে। তার কোনো নির্দিষ্ট কোনো সুযোগই থাকে না। সরকারি চাকরি যারা করে তারা তো অবসর ভাতা পায়। যেমন আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্য কিছু থাকে না আবার সাংবাদিকদেরও কিছু থাকে না। এটা বাস্তবতা। আমি জানি না, এতদিন চিন্তা হয়নি। এখন চিন্তা হয়। আমি চলবো কিভাবে, যদি ব্যবসা বাণিজ্য করতাম সেটা আলাদা কথা। যারা ব্যবসা করে তাদের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু আমরা যারা ব্যবসা করি না বা কিছুই করি না, আমরা কিভাবে চলবো, কোথায় থাকবো। এখন গণভবনে আছি ভালো কথা, এখান থেকে যেয়ে উঠবো কোথায়। সে জায়গা টা তো নেই। এটা তো বাস্তবতা। তো যাই হোক, আমি নিজের জন্য চিন্তা করি না। কিন্তু আমি সবার জন্যই ভাবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের বলবো, যদি কেউ এ রকম ফ্ল্যাট কিনতে চান, এটা আপনি কিস্তিতে দেবেন। প্রথমে সামান্য একটু দিলে বাকিটা কিস্তিতে দেওয়া যাবে। সেভাবে আমরা কিন্তু ফ্ল্যাট তৈরি করে দিচ্ছি। যদি আপনারা নিজেরা করতে চান, একটা জায়গা নির্দিষ্ট করে দিলাম, যেখানে আপনারা ঘর করে নিতে পারবেন। কিন্তু সহজ হয় ওটাই যে কিস্তিতে একটা ফ্ল্যাট নিলে স্থায়ী আবাসনের একটা ব্যবস্থা হয়।’
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী, প্রেস শ্রমিকদের কল্যাণে ইতোমধ্যে আমরা ওয়েজবোর্ডও কার্যকর করেছি। যেহেতু এখন বেসরকারি খাতটাই সব, এটা নির্ভর করে অনেকটা মালিকদের ওপর। তারপরেও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদেরও ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এবং খুব শিগগিরই এটা বাস্তবায়ন করা হবে। আর আপনাদের কল্যাণে গণমাধ্যমকর্মী চাকরি শর্তাবলী আইন সেটাও আমরা প্রণয়ন করে দিবো।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা