অনলাইন ডেস্ক
রবিবার (২৫ অক্টোবর) পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সংগঠনটির রজতজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেন সরকার প্রধান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। বর্তমান সময়ে সবাই স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারছে।
তিনি বলেন, আপনারা যে যেভাবে পারেন, যা খুশি আপনারা কিন্তু রিপোর্ট করতে পারেন। আমরা কোনো বাধা দেইনি। সেভাবে স্বাধীনতার পর জাতির পিতাও কিন্তু আপনাদের সেই সুযোগটা দিয়েছিলেন। তার জীবনটাও সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি যখন কলকাতায় পড়াশোনা করতেন। তখন সাপ্তাহিক একটি পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কিন্তু সেটা বেশিদিন চলেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে ইত্তেহাদ নামে একটি পত্রিকা বের হয়, ওই পত্রিকার সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। হাসেম সাহেব মূলত দায়িত্ব ছিলেন সে পত্রিকার। তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।
যোগ করে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান হওয়ার পর যখন সবাই বাংলাদেশে চলে আসে তখন ইত্তেফাক বের করা হয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অর্থে। ইত্তেফাক পত্রিকার দায়িত্বে ছিলেন তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া। সেখানেও কিন্তু বঙ্গবন্ধু ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য তিনি আর একটি পত্রিকা বের করেছিলেন ‘নতুন দিন’ নামে। সেই পত্রিকার সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলার বাণী সাপ্তাহিক বের করেন তিনি। সেটা মার্শাল ল জারির পর গ্রেপ্তার এবং এরপর যখন তিনি মুক্তি পান। সেই ১৯৬১ সালের দিকে তখন থেকে সাপ্তাহিক বাংলার বাণী করেন এভাবে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে তার একটা সম্পর্ক ছিল। সেদিক থেকে আমি দাবি করতে পারি, আমিও বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের সন্তান হিসেবে সাংবাদিক পরিবারেরই একজন সদস্য। সেভাবেই আমি আপনাদের দেখি।
আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছে এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো কাজ করেছে। ওই সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল দুর্নীতিই ছিল তাদের একমাত্র নীতি।
দুর্নীতি ধরা পড়লে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আগে দুর্নীতি অন্যায় ধামাচাপা দেয়া হতো। কিন্তু এই সরকার তা করে না। যারা দুর্নীতি করছে সরকার তাদের ছাড় দিচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে গত ১১ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।
ডিআরইউ’র রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা