অনলাইন ডেস্ক
কূটনীতিকরা বলছেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটকালে শেখ হাসিনার এবারের সফর সময়োপযোগী। সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে ভারত।
সফরে বন্ধুপ্রতীম দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কুশিয়ারার পানি নিয়ে চুক্তি হতে পারে। তবে তিস্তা নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি এখনও হয়নি বলে জানা গেছে।
সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন এবং ৬৬০ মেগাওয়াট রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন, ভারতীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে ভাষণসহ একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরপর তাকে দেওয়া হবে গার্ড অব অনার। পরে প্রধানমন্ত্রী রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘হায়দরাবাদ হাউস’-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ করবেন। পরে তার সম্মানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেবেন।
শেখ হাসিনার সফরকালে তার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করসহ শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারাও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যমান সহযোগিতামূলক সম্পর্কের নতুন দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফিরবেন ৮ সেপ্টেম্বর।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা