প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৯’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের ‘শিখা অনির্বাণে’ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এই শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণের বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানানোর অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর বাছাইকৃত চৌকষ সদস্যের একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বান চত্বরে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এরআগে, প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বানে এসে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.মাহফুজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
শিখা অনির্বানে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান, যেখানে তিন বাহিনী প্রধানগণ তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীকে পিএসও এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালকগণ অভ্যর্থনা জানান।
১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দখলদার পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত আক্রমন শুরু করে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ত্বরান্বিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর এই দিনটি প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।-বাসস
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা