অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর চকবাজারে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ভোটের সময় ভারতবিরোধী, হিন্দুবিরোধী স্লোগান দেয়, তারাই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াতে পরিকল্পিতভাবে নানা অঘটন ঘটানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। গত দুর্গাপূজার সময়ও তারা সে অপচেষ্টা চালিয়েছে। সে সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সব সময়ই তারা সেভাবেই পাশে দাঁড়াবে। সরকার এই অপশক্তি নির্মূলে বদ্ধপরিকর।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে যেমন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তেমনই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা দেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবো।’
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, পংকজ দেবনাথ এমপি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার প্রমুখ।
পরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সাবেক সভাপতি এইচ টি ইমামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রাজ্ঞ ও বিজ্ঞ নেতা এইচ টি ইমামের চলে যাওয়া দেশ ও আওয়ামী লীগের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
বিকেলে ঢাকার বাসাবোতে আন্তর্জাতিক ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে প্রয়াত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন মন্ত্রী। সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভাষা আর সংস্কৃতি বাঙালির গর্ব
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম আয়োজিত ষোড়শ আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী চলচ্চিত্রকারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার প্রাক্কালে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে ভাষা আর সংস্কৃতি দুটিই আমাদের গর্বের বিষয়। বাঙালিরা মেধাবীও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে আমরা আজ মধ্যম আয়ের দেশ ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর সামনে অনন্য উদাহরণ।’
উৎসব আয়োজক পরিষদের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, উৎসব পরিচালক সৈয়দ ইমরান হোসাইন কিরমানী, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসীন মুরাদ, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, জুনায়েদ আহমেদ হালিম, জহিরুল ইসলাম কচি প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
‘মুক্ত চলচ্চিত্র, মুক্ত প্রকাশ’ স্লোগান নিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ প্রদর্শিত ১৩০টি দেশের চার শতাধিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে তুরস্কের ‘আ’ম এফ্রেইড টু ফরগেট ইয়োর ফেইস’ ও ‘আল-সিট’ এবং বাংলাদেশের ‘চক্রব্যূহ’কে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল ও মানজারে হাসীন মুরাদ পেয়েছেন ‘হীরালাল সেন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা