অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার আগে দুপুরে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দুর্যোগের মধ্যেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৪৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বেশি। শতাংশ হিসেবে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
প্রতিবার বাজেটে ঘাটতি সাধারণত পাঁচ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়। তবে এবার করোনার প্রভাবে প্রথমবারের মতো তা ছয় শতাংশ স্পর্শ করেছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে করবহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির পরিমাণ ধরা হচ্ছে ৩৩ হাজার ৩ কোটি টাকা।
আয় ও ব্যয়ের এ বিশাল ফারাকের বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। এ বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করবে, অংকে যা ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে (সংশোধিত) যা আছে ৫২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।
ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার এক লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। অভ্যন্তরীণ উৎস অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতির বড় একটি অংশ পূরণ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আসন্ন অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও অন্যান্য ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে মোট ২৫ হাজার কোটি টাকা নিতে চায় সরকার।
চলতি অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। পরে চাহিদা বাড়লে এটি বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৪২১ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে এই বিশাল লক্ষ্য অতিক্রম করে প্রায় লাখ কোটি টাকায় গিয়ে পৌছেঁছে সরকারের ব্যাংক ঋণ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা