অনলাইন ডেস্ক
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে যেসব তথ্য থাকে, সে তথ্য দিয়ে মানুষের ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ লোপাট করা সম্ভব। যতদিন এটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল ততদিন তো ফাঁস হয়নি। তাদের অধীন থেকে সরকার নিজ দায়িত্বে নেওয়ার পরই এটা ফাঁস হয়েছে। এর ভেতর সরকারের কোনো সুপরিকল্পিত গভীর চক্রান্ত থাকতে পারে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছিল, তার সঠিক প্রতিবেদন আজও প্রকাশ পায়নি।’
রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘জনগণকে পিষ্ট করার পাশাপাশি এরই মধ্যে স্থায়ীভাবে বন্দিত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার জন্য কোটি কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করা হয়েছে। অথচ সরকার হচ্ছে জনগণের আমানতকারী। সরকারের হেফাজতে জনগণের তথ্যসহ অনেক কিছু থাকতে পারে সংরক্ষণের জন্য। এই সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ বলেই সংরক্ষিত তথ্য ফাঁস করিয়েছে। সরকারের লোকজনের সহায়তা ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়।’
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সরকার দুর্বৃত্তায়ন, ইতরায়ন ও রক্তাক্ত সন্ত্রাসের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হত্যার সংখ্যা। দেশকে পরিণত করা হয়েছে মৃত্যু উপত্যকায়। তাদের মিথ্যা কথা চেঁচানোর রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। অবৈধ ক্ষমতার গরিমা আর অহমিকায় তারা ধরাকে সরাজ্ঞান করে না। আর এর ফলে অতীতের সব নজির ভেঙে গোটা দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর বিপর্যয় নেমে এসেছে। তাই আজ তাদের সীমাহীন অনাচারের বিরুদ্ধে জনগণ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। জনগণকে আর আটকে রাখা যাবে না। মিটিং, মিছিল, স্লোগান প্রতিরোধের উদ্বেল অভিযাত্রায় রাজপথে অচিরেই জনগণের বিপুল তরঙ্গ উঠবে।
তিনি জানান, আগামী ১২ জুলাই বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সমাবেশ সফল করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা