অনলাইন ডেস্ক
তবে কৃষকেরা জানান, গুদামে ধান নিয়ে গেলে আর্দ্রতার কথা বলে প্রতি মণে এক-দুই কেজি করে বেশি ধান নেওয়া হয়। ভেজা বলে অনেক সময় ধান ফেরতও দেওয়া হয়। ধান বিক্রি করে টাকার জন্য ঘুরতে হয় বেশ কয়েক দিন। সঙ্গে গাড়ি ভাড়া ও শ্রমিক খরচ লাগে। এছাড়াও খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাত দেখায়।
বড়বিলা গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে ধানের দাম কম হওয়ায় গ্রামে বিক্রি করেছি বেশি দামে। গাড়ি ভাড়া দিয়ে গুদামে ধান নিলে লোকসান হয়। সেখানে নানা টালবাহানা করে। টাকা তুলতে ব্যাংকে ঘুরতে হয়। নানা হয়রানি ও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। এ কারণে গুদামে ধান বিক্রি করছি না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্র জানায়, এ উপজেলায় ২ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। গত ১১ মে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে এবং তা ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। কৃষি অ্যাপে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে লটারি করে ১ হাজার ১৩৯ জন কৃষক নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ১১ জন কৃষক গুদামে ২৯ মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছে।
ধুনট উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সরকারিভাবে যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় বাজারেও সেই দামে ধান বেচাকেনা হচ্ছে। যে কারণে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে নির্বাচিত কৃষকেরা আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। অথচ লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচনের সময় প্রচুর কৃষক আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এখন ধান বিক্রির জন্য ফোন করেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা