ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি করেছেন যা হাজার কৃত্রিম হাসির মধ্যে থেকে বেছে নিতে পারে সত্যিকারের হাসিকে। গবেষকদের মতে, কোন মানুষের আসল হাসি লুকিয়ে থাকে তার চোখে। আর এই বিষয়টিকেই কাজে লাগিয়েছেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে মানসিক রোগীদের চিকিৎসা আরও সহজ হবে। ভবিষ্যতে বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে মেশিন ও মানুষের মধ্যেও সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান বলছেন, “মুখের অভিব্যক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাসি। এই হাসিই ইতিবাচক অভিব্যক্তি। তবে এতদিন আসল ও কৃত্রিম হাসির পার্থক্য করা ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। এবার প্রযুক্তির হাত ধরে সেই পার্থক্য বোঝা সম্ভব।”
এই সফটওয়্যারটি প্রথমে একটি মানুষের মুখের ভিডিও দেখে। যেখানে তার ঠোঁট, গাল এবং চোখের বৈচিত্রগুলো ভালভাবে লক্ষ্য করা হয়। তারপর দেখা হয়, হাসির সময় এই অংশগুলো কীভাবে সহযোগিতা করছে। এরপর ভিডিও’র প্রতিটি ক্লিপে ব্যক্তির অভিব্যক্তি হিসেব করে দেখিয়ে দেওয়া হয় তার হাসি আসল নাকি কৃত্রিম। এই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে চোখ।
গবেষকরা জানাচ্ছে, ভিডিও’র প্রতিটি ক্লিপ ভালভাবে লক্ষ্য করলেই পার্থক্যটা ধরা পড়ে। কেউ মন থেকে হাসলে তার পেশি অন্তত ১০ গুণ বেশি সচল হয়। নকল হাসির ক্ষেত্রে অনেক সময় কেবলমাত্র ঠোঁটের আশপাশের পেশি বেশি সচল থাকে। চোখের ভূমিকা সেখানে কম হয়। যদিও সফটওয়্যারটি সাধারণ মানুষ কবে থেকে ব্যবহার করতে পারবেন, তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
NB:This post is copied from bd-pratidin
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা