অনলাইন ডেস্ক
তবে চোখ বন্ধ অবস্থায় জীবনের এই শেষ যাত্রায় তার স্বজনদের দিতে হয়নি কোনো ভাড়া। শহীদুল্লাহর ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার বড় ভাইয়ের মরদেহ নিতে আমরা টাকা দিতে চেয়েছিলাম। আমাদের সামর্থ্যও আছে। কিন্তু ঘাট থেকে কোনো টাকা নেয়নি। মরদেহের সঙ্গে আমাদেরকেও বিনামূল্যে যেতে বলা হয়েছিল। এভাবে সন্দ্বীপের সব মরদেহ বিনামূল্যে পারাপার করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় যেতে সাগর পাড়ি দিতেই হবে। এক্ষেত্রে কুমিরা-গুপ্তছড়া প্রধান পথ। এ ঘাটের ইজারাদার এস এম আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান। বিনামূল্যে মরদেহ পারাপার তার মানবিকতায় সম্ভব হচ্ছে। কারণ মরদেহ পরিবহনে ভাড়া না নিতে তিনি বাধ্য নন। জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নেওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো শর্ত ছিল না। চাইলেই তিনি নিতে পারেন নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া। তার আগের ইজারাদার মরদেহ পরিবহনে ভাড়া নিতেন, যা ছিল সাধারণ ভাড়ার চেয়ে বেশি।ঘাটে থাকা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই কুমিরা থেকে গুপ্তছড়া ঘাট পর্যন্ত দুয়েকজনের মরদেহ পার করতে হয়। আনোয়ার চেয়ারম্যান এই ঘাটের ইজারা নিয়েছেন ২০১৩ সালে। গত প্রায় ১০ বছরে তিনি এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মরদেহ পার করিয়েছেন। কিন্তু কারো স্বজনের কাছ থেকে এক টাকাও নেননি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা