সন্তানরা দেশে ফেরার পরই সমাহিত হবেন এন্ড্রু কিশোর

সোমবার রাতেই তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে নেয়া হয়েছে।

এন্ড্রু কিশোরের মেয়ে সঙ্গা (২৬) ও ছেলে সপ্তক (২৪) অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। সঙ্গার পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে। তার স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু একজন চিকিৎসক। তিনি রাজশাহীতেই বসবাস করেন।

শিল্পীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ জুলাই সমাহিত করা হবে তাকে। কারণ তার দুই সন্তান সপ্তক ও সংজ্ঞা এখন অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছেন। তারা দেশে না ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে সপ্তক ও সংজ্ঞার দেশে ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে।

এন্ড্রু কিশোরের বন্ধু ড. দ্বীপকেন্দ্র নাথ দাস জানান, দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরলে তাদের বাবার মরদেহ সমাহিত করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত মরদেহ হিমঘরেই থাকবে। শিল্পীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে।

১৯৫৫ সালের ০৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর। তার বাবার নাম খিতিশ চন্দ্র বাড়ই। মা মিনু বাড়ই। রাজশাহীতেই কেটেছে এন্ড্রু কিশোরের শৈশব ও কৈশোর। গানের টানে মুক্তিযুদ্ধের পর পর তিনি রাজধানী ঢাকায় নিয়মিত ভাবে বসবাস শুরু করেন।

ক্যান্সার পিছু ছাড়বে না জেনেই গত ১১ জুন সিঙ্গাপুর থেকে চলে আসেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর রাজশাহীতে অনেকটা নিভৃতেই ছিলেন বোনের বাড়িতে। সোমবার সন্ধ্যায় সেখানেই মারা যান এন্ড্রু কিশোর।

আরোও পড়তে পারেন : ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র