অনলাইন ডেস্ক
কবি, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, গায়ক ও সংগঠক হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছেন সঞ্জীব চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন তিনি। ‘আজকের কাগজ’, ‘ভোরের কাগজ’ ও ‘যায়যায়দিন’সহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন। সর্বশেষ কাজ করেছিলেন যায়যায়দিনের ফিচার এডিটর হিসেবে। দেশের দৈনিক পত্রিকায় ফিচার বিভাগের যাত্রা শুরুর ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনন্য। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সংগীত ও কবিতায় সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী। তার গানে সমাজ, দেশ ও রাজনৈতিক সচেতনতার প্রতিফলন পাওয়া যায়। ‘শঙ্খচিল’ দলে সংগীতচর্চা করতেন সঞ্জীব।
সংগীতশিল্পীর প্রয়াণদিবসে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে ‘সঞ্জীবসন্ধ্যা’র আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন। এতে তাঁর স্মরণে গাইবেন শিল্পীরা।
আয়োজকেরা জানান, ‘সঞ্জীবসন্ধ্যায় তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। আমাদের মধ্যে গান গাইবেন তাঁর সহযোদ্ধারা, যাঁরা যুদ্ধ করে যান যুগে যুগে, যাঁরা ঘুরে ঘুরে তাঁদের স্বপ্নের কথা জানাতে চান।’
এ আয়োজনে থাকবেন অনিন্দ্য বিশ্বাস, ক্রানুপ্রু মার্মা লোটাস, তাসনিম ইজাজ, অং অং, সায়েম জয়, তুহিন কান্তি দাসসহ আরও অনেকে।
‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোলো’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’ প্রভৃতি কালজয়ী গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ‘গাড়ি চলে না’, ‘বায়োস্কোপ’, ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ গানগুলো গেয়ে বাংলা লোকগানকে তিনি নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছেন।
১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে গড়ে তোলেন ‘দলছুট’ ব্যান্ড। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পার যৌথ উদ্যোগে এই ব্যান্ডের প্রকাশিত অ্যালবামগুলো হলো- ‘আহ্ (১৯৯৭)’, ‘হৃদয়পুর (২০০০)’, ‘আকাশচুরি (২০০২)’ এবং ‘জোছনা বিহার (২০০৭)’। দলছুটের চারটি অ্যালবামে কাজ করার পাশাপাশি অনেক গান রচনা ও সুর দিয়েছেন তিনি। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম নেন এই শিল্পী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা