অনলাইন ডেস্ক
তিনি বলেন, সরকারের চেয়ে রাষ্ট্র অনেক বড় ধারণা। সরকার দলের হয় আর রাষ্ট্র হয় সবার। সেই রাষ্ট্রের প্রধান যখন কোনো সংলাপের আমন্ত্রণ জানান, তখন তাতে সাড়া দেওয়া নাগরিক দায়িত্ববোধের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। এ বোধ থেকেই আমরা ২০১২ ও ২০১৭ সালের সংলাপে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু তিক্ত সত্য হলো, আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি।
তিনি বলেন, ২০১২ সালের সংলাপে গঠিত নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে একতরফা নির্বাচন আয়োজন করেছে; যেখানে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী দেখানো হয়। ২০১৭ সালের সংলাপের পর গঠিত কমিশন ২০১৮ সালে একটি বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছে, যাকে অনেকেই মধ্যরাতের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে। এই দুই জাতীয় নির্বাচন এতটাই বিতর্কিত ও জালিয়াতিতে পূর্ণ যে, তা জাতি হিসেবে আমাদের চরম হতাশ, বিব্রত ও লজ্জিত করেছে।
‘এমন কলঙ্কজনক নির্বাচনের জন্য ইসিকে জবাবদিহিতার আওতায় না আনায় তারা হতাশ’ উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি। তাছাড়া অতীতের দুটি সংলাপে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের গঠনমূলক প্রস্তাবগুলোর কোনোটাই মূল্যায়ন করা হয়নি। যে দল তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন করেছে, তিনি সেই দলীয় স্বার্থের বাইরে যেতে পারেননি। অতীতের দুটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে না।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা