জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু গণতন্ত্র আর ষড়যন্ত্র একসাথে চলে না। দেশে গণতন্ত্র নাই বলেই ষড়যন্ত্র জাল বিস্তার করছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মবার্ষিকী, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, এই যে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে এত এত ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাহলে আমরা কী বলবো, জিয়া পরিবারের সদস্য সংখ্যা কয়জন? শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো- মাত্র এই কজন? না, জিয়া পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাংলাদেশে কম করে হলেও ১৬ কোটি। এই ১৬ কোটি মানুষ বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
আরও পড়ুন : অনুমতি না নিয়ে বিএনপির সভা-সমাবেশ করার ঘোষণা হাস্যকর : ওবায়দুল কাদের
সংগঠনের সভাপতি মাহফুজুল কবীরের সভাপতিত্বে ও কৃষকদলের সদস্য এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ আনোয়ার, আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ধুতি ইব্রাহিম ও কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সুতরাং এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবার দায়িত্ববোধ জনগণের মধ্যে আছে।
তিনি বলেন, অনেক কিছু একসাথে রাখলে স্তুপ হয়, কিন্তু তা সংঘটিত হয় না। রড, সিমেন্ট, বালু একসাথে রাখলেও সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য রাজমিস্ত্রি দরকার। সুতরাং জনগণের চেতনাবোধ আছে এবং দায়িত্ববোধ আছে। কিন্তু জনগণ অসংগঠিত। তাদেরকে এক বাক্যে এক লক্ষ্যে সংগঠিত করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলের। সেই দায়িত্বটা যদি আমরা সঠিকভাবে পালন করি তাহলে একটি যৌক্তিক আন্দোলন হতে পারে। আর সেটা কোনও রাজনৈতিক দলের আন্দোলন না, সেটা হবে দেশের পক্ষে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে আন্দোলন। এই আন্দোলনটা হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। আর গণতন্ত্র যদি পুনরুদ্ধার হয় তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমাদের কুটীর-দ্বারে আর ঘুরতে হবে না।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনটাই হচ্ছে যথার্থ। আমরা যদি গণতান্ত্রিকভাবে সফল হতে পারি খালেদা জিয়া বিনাপ্রশ্নে চলে আসবেন তাঁর বাড়িতে। তাঁকে আটকে রাখা তো দূরের কথা কত তাড়াতাড়ি তাঁকে গাড়ি করে বাড়িতে পৌঁছে দেবে সেজন্য ব্যস্ত হয়ে উঠবে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার। সুতরাং মনে রাখতে হবে, জনগণের দাবি সবসময় আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আদালতের রায়ের মাধ্যমে নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আদালতের রায়ে হয়নি। তখন কি আদালত বন্ধ ছিল? তাহলে দেশ স্বাধীন করল কারা? এদেশের আপামর জনতা।
গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেননি, তিনি আর্মির একজন মধ্যম সারির অফিসার হয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডকে ইগনোর করেছেন। তারপর তিনি বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ড হাতে নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন শুনতে হয়তো খুব সহজ মনে হচ্ছে, কিন্তু এটা ছোটখাটো কাজ ছিল না।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা