অনলাইন ডেস্ক
শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে আফগানরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের শততম ম্যাচে এমন জয়ে সুপার ফোরের পথেও অনেকটা এগিয়ে গেল তারা।
আগে ব্যাট করে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় লঙ্কানরা করেছিল ১০৫ রান। ৫৯ বল আগে ওই রান পেরিয়ে জিতেছে আফগানিস্তান। দলের জয়ের ভিত গড়ে ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নায়ক ফারুকি।
১০৬ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তুলেন হজরতুল্লাহ জাজাই ও রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। চার-ছয়ের বৃষ্টিতে দিশেহারা করে দেন লঙ্কান বোলারদের। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতেই তারা নিয়ে ফেলেন ৮৩ রান। ৪ ছক্কা, ৩ চারে মাত্র ১৮ অলে ৪০ করে ভানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হন গুরবাজ। তিনে নামা ইব্রাহিম জাদরান দলের জয়ের ৫ রান আগে হন রানআউট। গুরবাজের বিদায়ের পর বাকি কাজ তড়িঘড়ি সারতে থাকা জাজাই অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৩৭ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ফারুকির তোপে পড়ে লঙ্কানরা। বাঁহাতি এই পেসার দুই দিকেই স্যুয়িং করাতে পারদর্শী। ডানহাতি ও বাঁহাতি দুই ব্যাটারকে প্রথম ওভারে কাবু করেন দুই রকম স্যুয়িংয়ে। দুই ব্যাটারের কাছেই বলটা গেছে ভেতরে। কুশল মেন্ডিস ভেতরে ঢোকা বলে পরাস্ত হলেও আম্পায়ার শুরুতে এলবিডব্লিউর আউটে সাড়া দেননি। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় আফগানরা। ঠিক পরের বলে চারিথা আসালাঙ্কা ভেতরে ঢোকা আরেক বলে পরাস্ত হলে এবার আর এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিতে ভুল করেননি আম্পায়ার।
৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া শ্রীলঙ্কা পরের ওভারে শিকার হয় দুর্ভাগ্যের। নাবিন উল হকের বলে এগিয়ে এসে উড়াতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি পাথুম নিশানকা। বল গ্লাভসে জমিয়ে জোরালো আবেদন করেন কিপার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। মাঠের আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন নিশানকা। আল্ট্রা এজ প্রযুক্তিতে কোন স্পাইক দেখা না গেলেও টিভি আম্পায়ার বহাল রাখেন মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় লঙ্কান খেলোয়াড় ও কোচকে।
৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়া লঙ্কনরা পাওয়ার প্লের বাকিটা সময় ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভানুকা রাজাপাকসের ঝড়ে। চতুর্থ উইকেটে দানুশকা গুনাথিলেকাকে নিয়ে তিনি ৩২ বলে যোগ করেন ৪৪ রান।
মুজিব উর রহমানের বলে গুনাথিলেকার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি, ফের খেই হারায় লঙ্কানরা। ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, দাসুন শানাকারা মেটাতে পারেননি সময়ের দাবি। একা হয়ে পড়ে রাজাপাকসে লড়াই চালাতে মরিয়ে ছিলেন। খেলছিলেন সাবলীল। কিন্তু চামিকা করুনারত্নের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে থামে তার ২৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
একের পর এক উইকেট পতনে ৭৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসা দলকে একশো পার করান করুনারত্নে। শেষ ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হন ৩১ রান করে। দিলশান মধুশঙ্কাকে নিয়ে শেষ উইকেটে যোগ করেন ৩০ রান, যাতে স্রেফ ১ রানের অবদান মধুশঙ্কার।
তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেও এই রান নিয়ে লড়াই করার অবস্থা ছিল না শ্রীলঙ্কার। আলগা বোলিংয়ে সেই সম্ভাবনার অনেক দূরে থেকেছে তারা।
এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের পথে অনেক শক্ত অবস্থানে থাকল আফগানিস্তান। গ্রুপের আরেক দল বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ ৩০ অাগস্ট।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা