অনলাইন ডেস্ক
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ ম্যাচেও টস ভাগ্যে জয় পেয়ে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমদুুল্লাহ রিয়াদ।
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে শুভ সূচনা এনে দেন দলের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও লিটন দাস। দেখেশুনে খেলে পাওয়া প্লেতে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৩৬ তোলেন এ জুটি।
তাড়াহুড়ার না করে উইকেট বাঁচিয়ে খেলাতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন নাইম-লিটন। তাই ৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান রেটও খুব বেশি ছিলো না। বিনা উইকেটে ৫৩। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার রাচিন রবীন্দ্রর করা দশম ওভারের প্রথম বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মারেন লিটন।
একই ওভারের তৃতীয় বলে ইনসাইড-এজ হয়ে লিটন বোল্ড হলে দলীয় ৫৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন লিটন। লিটনের বিদায়ে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামেন মুশফিকুর রহিম। রবীন্দ্র রাচিনের প্রথম ডেলিভারিতেই স্টাম্প আউট হন মুশফিক। ১ বল খেলে খালি হাতে ফিরেন মুশফিক।
মুশফিক ব্যাটিংয়ে তিন নম্বরে নামায়, চার নম্বরে ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। দ্রুত রান তোলার পরিকল্পনা ছিলো সাকিবের। ১১তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের পেসার স্পিনার কোল ম্যাকোঞ্চিকে দু’টি বাউন্ডারি মারেন সাকিব। কিন্তু একই ওভারের শেষ বলে আবারো বাউন্ডারি মারতে গিয়ে মিড-অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ২টি চারে ১২ রান করেন সাকিব। দলীয় ৭২ রানে সাকিব ফিরলে, নাইমের সাথে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তারা। এতে ১৫তম ওভারে শতরানে পৌঁছায় বাংলাদেশের ইনিংস।
১৬তম ওভারে নাইম-মাহমুদুল্লাহর জুটি ভাঙ্গেন রবীন্দ্র। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করতে থাকা নাইম, ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আউট হন। ৩৯ বলের ইনিংসে ৩টি চার মারেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে মাহমুদুল্লাহর সাথে ২৯ বলে ৩৪ রান যোগ করেন নাইম। এরপর উইকেটে এসে মাত্র ৩ রানে থামেন আফিফ হোসেন। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার আজাজ প্যাটেলের প্রথম শিকার হন তিনি। ফলে ১০৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আফিফ যখন ফিরেন তখন ইনিংসের ২২ বল বাকী ছিলো। ১৯তম ওভারে মাহমুদুল্লাহর ২টি চারে ১৩ রান পায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ১১ রান তোলেন মাহমুদুল্লাহ ও নুরুল। ইনিংসের শেষ বলে ডিপ মিড-উইকেটে ক্যাচ দিয়ে থামেন নুরুল।
৯ বলে ১টি চারে ১৩ রান করেন নুরুল। ৩২ বলে ৫টি চারে অপরাজিত ৩৭ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের রবীন্দ্র ২২ রানে ৩ উইকেট নেন। ১টি করে শিকার করেন প্যাটেল-ম্যাককঞ্চি ও বেনেট।
১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন রাচিন রবীন্দ্র। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন সাকিব। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে রাচিনকে বোল্ড করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর নিউজিল্যান্ড ওপেনার টম ব্লান্ডলকে আউট করেন মেহেদী। ৬ রান করে স্টাম্পড হন ব্ল্যাক ক্যাপ ওপেনার।
শুরুতে দুই উইকেট হারানোর পর উইল ইয়াং ও টম ল্যাথাম বিপজ্জনক একটি জুটি গড়েন। ২২ রান করা ইয়াংকে আউট করে ৪৩ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব।
নাসুম আহমেদ তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে পেলেন প্রথম উইকেট। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ৮ রানে বিদায় করেন নাসুম। ডিপ স্কয়ার লেগে মুশফিকুর রহিম তার ক্যাচ ধরেন। গ্র্যান্ডহোমের বিদায়ের পর ল্যাথামকে সঙ্গ দিতে নামেন আগের ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করা নিকোলাস। এসেই এক চারে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি মেহেদী। মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ব্যক্তিগত ৬ রানেই নিকোলাসকে ফেরান মেহেদী। উইকেট যাওয়া আসার মিছিলে অধিনায়ক টম লাথাম অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন, তবে বাকিদের ব্যর্থতায় জয়ের খুব কাছে গিয়েও নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৩৭ রানে। এতে ৪ রানের জয় পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। লাথাম অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৬৫ রানে। যেখানে ৬টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মেহেদী ও সাকিব। একটি উইকেট শিকার করেন নাসুম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৪১/৬, ২০ ওভার (নাঈম ৩৯, লিটন ৩৩, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ৩৭*, সোহান ১৩; আজাজ ১/২০, ম্যাকনকি ১/২৪, বেনেট ১/৩২ ও রবীন্দ্র ৩/২২)।
নিউজিল্যান্ড: ১৩৭/৫, ২০ ওভার (রবীন্দ্র ১০, ইয়াং ২২, ল্যাথাম ৬৭*, ম্যাককনকি ১৫*; মেহেদী ২/১২, নাসুম ১/১৭, সাকিব ২/২৯)।
ফল: বাংলাদেশ ৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ২-০ তে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা