অনলাইন ডেস্ক
আজ ঘানা-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ দেখতে এডুকেশন সিটিতে দর্শকের উপস্থিতি ছিল অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু, বিশ্বকাপ আমেজের কোনো কমতি ছিল না মাঠে। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল এশিয়ান টাইগাররা। আক্রমণের মাত্রা এতোটাই বেশি ছিলো যে প্রথম ১৭ মিনিটে তারা কর্নারই পেয়েছে ৭টি। যার প্রথম ৫টিই তারা পেয়েছে ম্যাচের ১১ মিনিটের মধ্যে।
দক্ষিণ কোরিয়দের একের পর এক আক্রমণের পরও ২৭ মিনিটে সালিসুর হেড থেকে পাওয়া গোলে প্রথমবারের মতো ম্যাচে এগিয়ে যায় ঘানা। আর, ৩৪ মিনিটের মাথায় জর্ডান আইয়ুর লম্বা করে বাড়ানো ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ঘানাকে আরও একবার এগিয়ে দেন মোহাম্মেদ কুদুস। এর আগের গোলটিতেও অ্যাসিস্ট করেছিলেন ক্রিস্টাল প্যালেসে খেলা জর্ডান আইয়ু। তিনিই প্রথম ঘানাইয়ান ফুটবলার যিনি ঘানার হয়ে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও লম্বা পাস, দারুণ সব ইন্টারসেপশন আর অপেক্ষাকৃত গোছালো আক্রমণ দিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা অব্যাহত রাখে দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু, কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা তাদের পাওয়া হয়নি বিরতির আগ পর্যন্ত। ফলে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ব্ল্যাক স্টাররা।
দ্বিতীয়ার্ধে গুছিয়ে খেলা শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া। ৫২ মিনিটে চো গুয়ে সাংয়ের হেডের সুবাদে দারুণ সম্ভাবনাময় একটি আক্রমণ চালালেও ঘানাইয়ান গোলকিপার আতি জিগির নৈপুণ্যে গোলবঞ্চিত হয় দক্ষিণ কোরিয়া। এটিই ছিল এবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম অন টার্গেট শট।
এরপর, অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৫৮ মিনিটে কোরিয়াকে প্রথম গোল এনে দেন চো গুয়ে সাং। প্রথম গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই এর তিন মিনিটের মাথায় দক্ষিণ কোরিয়াকে ম্যাচে সমতায় ফেরান চো গুয়ে সাং। ৬১ মিনিটে লি’র চোখ ধাঁধানো ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে সেনসেশনাল এক গোলে এশিয়ান টাইগারদের ম্যাচে ফেরান চো। ৬৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়া ঘানাকে আবারও এগিয়ে দেন মোহাম্মেদ কুদুস।
তৃতীয় গোলটির পর বেশ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে ম্যাচে। এ সময়, দক্ষিণ কোরিয়া ঘানার রক্ষণভাগে বেশ কয়েকদফা আক্রমণ চালালেও পায়নি গোলের দেখা। ৭২ মিনিটে সনকে বাজেভাবে ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন ঘানার তারিক ল্যাম্পটে। আর ৭৬ মিনিটে কুদুসকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন কিম ইয়াং উন। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে প্রথম দুই গোলে অ্যাসিস্ট করা মিডফিল্ডার জর্ডান আইয়ুর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন কামালদিন সুলেমানা। আর, তারিক ল্যাম্পটের বদলি হিসেবে নামেন ডিফেন্ডার ডেনিস ওদুই। নেমেই একদফা আক্রমণ চালান ওদুই; কিন্তু গোলের সামনে ভুল টাচের জেরে ব্যর্থ হয় সে প্রচেষ্টা।
এরপর, বেশ কয়েকদফা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে কিম জিন সু’র শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে গেলে হতাশা আরেকদফা বাড়ে এশিয়ান টাইগারদের। ম্যাচের ৯১ মিনিটে গোল করার সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাণভোমরা সন। কিন্তু, ঘানার রক্ষণের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে তার প্রচেষ্টা। শেষ ৫ মিনিটে গোল পেতে মরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া একের পর এক আক্রমণ চালালেও ঘানার ডিফেন্স লাইনে পরাস্ত হয় তাদের সবক’টি প্রচেষ্টা।
ম্যাচের ৯৯ মিনিটে পাওয়া ১২তম কর্নারটিই ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার এ ম্যাচে ফেরার শেষ সুযোগ। এরপর, যোগ করা হয় ১০ মিনিট। তারও অন্তিম মুহূর্তে, ১০০তম মিনিটে কর্নার পায় দক্ষিণ কোরিয়া; কিন্তু কর্নার নেয়ার সুযোগ না দিয়েই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি অ্যান্থনি টেলর। মাঠে ঢুকে রেফারিকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করায় এ সময় লাল কার্ড দেখেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ পাওলো বেন্তো। দুই ম্যাচ থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট পাওয়ায় বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে সনদের। এই হতাশা ম্যাচ শেষে ক্ষোভের সাথে প্রকাশ করেন পাওলো বেন্তো।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা