অনলাইন ডেস্ক
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। ১৬০ বল খেলে ৭ বাউন্ডারিতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৭ রান করেন ফারজানা।
মেয়েদের ওয়ানডেতে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছিল দু’জনের। ৭৫ রান করে করেছিলেন রুমানা আহমেদ ও সালমা খাতুন। ফারজানার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭১। সব ছাপিয়ে আজ নিজেকে নতুন চূড়ায় তুললেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও ফারজানা হকের ব্যাটে দিনের শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। তাদের জুটি থেকে আসে ৯৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তবে জুটি ভাঙ্গে ৫২ রানে ওপেনার শামিমা সুলতানা আউট হলে। এরপর দলের হাল ধরেণ ফারজানা হক ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা। দু’জন গড়েন ৭১ রানের পার্টনারশিপ। জুটি ভাঙ্গে ২৪ রানে নিগার আউট হলে। এদিন সুবিধা করতে পারেননি রিতু মনি। তিনি আউট হন ২ রান করে। এরপর বাংলাদেশের নারীদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ফারজানা। ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন সোবহানা মোস্তারি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হয়ে যান ফারজানা। তার ১০৭ রানে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রানে থামে টাইগ্রেসরা।
২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ১১ রানে ওপেনার শেফালি ভার্মাকে ফেরান মারুফা আক্তার। এরপরে স্বস্তিকা ভাটিয়াকে আউট করে ভারতকে চাপে ফেলেন সুলতানা খাতুন।
তবে ভারতের আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্ধানাকে নিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন হারলিন। ৫৯ রান করে স্মৃতি আউট হলেও একপাশ আগলে রাখেন হারলিন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক হারমানপ্রীত। ভারতীয় অধিনায়ককে মাত্র ১৪ রানে আউট করেন নাহিদা আক্তার।
ব্যক্তিগত ৭৭ রান করে হারলিন আউট হলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে ভারতের মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান জেমিমাহ রদ্রিগেজ দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে শেষদিকে দাঁড়াতে পারেনি কোনো ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত জেমিমাহ ৩৩ রানে অপারিজত থাকলেও অলআউট হয় ভারত।
নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাহিদা আক্তার। আর মারুফা তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা