অনলাইন ডেস্ক
অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘবছর যাবত নাজুক অবস্থায় ছিলো দেশের দেশের পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের চোখেমুখে ছিল কেবল আতঙ্কের ছাপ। কিছু কারসাজিকারী ছাড়া পুঁজিবাজারে লাভবান হয়েছেন, এমন বিনিয়োগকারী খুঁজে পাওয়া খুবই দুস্কর হবে।
রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল উত্তরণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। অর্থাৎ মঙ্গলবারই ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়ে ৩ গুণের বেশি। যার ধারাবাহিকতা দেখা যায় বুধ ও বৃহস্পতিবারও। সপ্তাহের শেষদিন লেনদেন বাড়ে ৮৩১ কোটি টাকা। হাতবদল হয় ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ার বাজারে লেনদেন ছিল ২০০ কোটির ঘরে।
২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি চালু হয় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স। এরপর এই প্রথম সূচকটি একদিনে ৩০০ পয়েন্টের ওপরে বাড়ল। এর আগে ২০১৩ সালের ২ জুন সূচকটি ২৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ছিল। গতকালের আগে এটিই একদিনে সূচকটি সর্বোচ্চ বাড়ার রেকর্ড ছিল। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
নতুন এই সরকার দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতি উপরের দিকেই যাবে বলে আশাবাদি এই অর্থনীতিবিদ। বলেন, ড. ইউনূসের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর আকুন্ঠ আস্থার কারণেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এমন আস্থার ভিত তৈরি হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়াবে জানান এই অর্থনীতিবিদ।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৮৬১পয়েন্ট। অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৭৯৯ পয়েন্টে। লেনদেন হয় ২২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা