অনলাইন ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে ওয়ার্নের অবদান অবিস্মরণীয়। তাকে বলা হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা বোলার। ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭০৯টি টেস্ট উইকেট নিয়ে অজিদের জার্সিতে সর্বোচ্চ এবং মুত্তিয়া মুরালিধরনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৯৩টি উইকেট নিয়েছিলেন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সবমিলিয়ে ৩০০-এর বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি ছিল তার। অ্যাশেজের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ উইকেট তার দখলে। এমনকি ‘শতাব্দীর সেরা বল’-এর কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
১৯৯২ সালে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর দলের মূল অস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন এই ডানহাতি লেগ স্পিনার। এছাড়া ১৯৯৩ থেকে ২০০৩, এই ১০ বছরে পাঁচবার অ্যাশেজজয়ী অজি দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
১৯৯২ থেকে ২০০৭; এই ১৫ বছরে ক্যারিয়ারে অসামান্য অর্জনের জন্য ওয়ার্নকে উইজডেনের ‘শতাব্দী সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর নিজের নেতৃত্বগুণের দারুণ প্রদর্শনী দেখান ওয়ার্ন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্যালসের খেলোয়াড় ও কোচ দুই ভূমিকাতেই দেখা যায় তাকে। শুধু কি তাই, টুর্নামেন্টের প্রথম আসরেই দলকে শিরোপাও জেতান তিনি।
শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও বর্ণিল জীবন ছিল ওয়ার্নারের। খেলোয়াড়ি জীবন ও কোচিং ছেড়ে ক্রিকেট ধারাভাষ্যে নাম লেখান তিনি। অবাক করা বিষয় হলো, নতুন ভূমিকাতেও ওয়ার্ন দারুণ সফল ছিলেন। ক্রিকেটের সবচেয়ে ‘ধারালো’ বিশ্লেষকদের একজন ছিলেন তিনি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা