অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ক্রাউন ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (সিআইবিটি) আয়োজিত প্রফেশনাল কোর্সের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার এবং ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।তিনি বলেন, শুধু চাকরির জন্য লেখাপড়া করা চলবে না। ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রগতির চাকাকে পাল্টে দিতে চাই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানারকমের প্রতিবন্ধকতা আছে, থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় হলো সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সংগ্রামমুখর জীবন পার করতে হয়। হয়ত কেউ কেউ সচ্ছল পরিবারেরও আছেন। কিন্তু হাওর, বাওর ও পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করে। এসব শিক্ষার্থী নিজের টিউশনের টাকা নিজেই উপার্জন করছে। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে পরিবারের জন্য আর্থিক সংস্থান করছে। এভাবেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে।উপাচার্য বলেন, যে মোবাইলটি হাতে নিয়ে তোমরা ঘুরছ, সেটি দিয়ে শুধু ফেসবুক চালাবে তা নয়, কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার সম্পর্কে জানবে। ই-বুক, ই-জার্নালে ঢুকবে। এসব টেকনোলজির মাধ্যমে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউব, গান শোনায় দিনে ১ ঘণ্টা ব্যয় করতে পার কিন্তু নিজেকে সমৃদ্ধ করার জন্য পড়ালেখায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ব্যয় করতে হবে। অন্যথায় চার বছর পর দেখবে সময় শেষ কিন্তু নিজেকে তৈরি করা যায়নি।তিনি বলেন, চার বছরের শিক্ষাবর্ষে গড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ভালো কাজে লাগাতে পারলে একজন মানুষ তার জীবনে আমূল পরিবর্তন করতে পারে। এসময়ে একজন মানুষ নিজেকে এমন জায়গায় দাঁড় করাতে পারে যিনি পরিবার, সমাজ বদলাতে পারে। পৃথিবীর সব জায়গায় আমাদের মেধাবীদের বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে। তারা যেন দেশ মাতৃকার সুরক্ষায়, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, অসাম্প্রদায়িক মনোভাবকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে পারে। নিজের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস রাখতে হবে। নতুন জীবনের অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন পৃথিবীতে সমতা আনতে হবে। তাহলেই তোমাদের সাফল্যে আমাদের অনাগত শিক্ষার্থীরা আস্থা খুঁজে পাবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা