অনলাইন ডেস্ক
এ নিয়ে লঞ্চডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রেজাউল করিম।
তবে লাশের সংখ্যা ৩৫ না ৩৪ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ’র দেয়া তথ্যে আমাদের কাছে ৩৭ জন নিখোঁজের তালিকা ছিল। সেখানে সাইফুল ও জাকিরকে জীবিত পাওয়া গেছে। আরেকজনের নাম তালিকয় ২ বার উঠায় এই সংখ্যা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল।
এদিকে যাদের লাশ সনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের কোর্টগাও এলাকার মুন্সীগঞ্জের উত্তর চর মসুরার পখিনা (৪৫), একই এলাকার বিথী (১৮) ও তার এক বছর বয়সী মেয়ে আরিফা, দোলা বেগম (৩৪), মুন্সীগঞ্জ সদরের রুনা আক্তার (২৪), মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দির সোলেমান বেপারী (৬০) ও তার স্ত্রী বেবী বেগম (৬০), মুন্সীগঞ্জের মালপাড়ার সুনিতা সাহা (৪০) ও তার ছেলে বিকাশ (২২), মুন্সীগঞ্জ সদরের প্রতিমা শর্মা (৫৩), মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দি চর কিশোরগঞ্জের মো. শামসুদ্দিন (৯০) ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৬৫), বরিশালের উটরা উজিরপুরের হাফিজুর রহমান (২৪), তার স্ত্রী তাহমিনা (২০) এবং এক বছর বয়সী শিশুপুত্র আবদুল্লাহ, মুন্সীগঞ্জের দক্ষিণ কেওয়ারের নারায়ণ দাস (৬৫) ও তার স্ত্রী পার্বতী দাস (৪৫)
এছাড়াও শনাক্ত হওয়া অন্যরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কল্যান্দী এলাকার আজমির (২) (ঘটনার সময় সে দাদা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে ছিল, দাদা সাইফুল বেঁচে গেছেন), মুন্সীগঞ্জ সদরের শাহ আলম মৃধা (৫৫), একই এলাকার মহারানী (৩৭), ঢাকার শনির আখড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৩০) ও তাদের সাত মাস বয়সী মেয়ে মানসুরা, মুন্সীগঞ্জ সদরের ছাউদা আক্তার লতা (১৮), শরিয়তপুরের নড়িয়ার আবদুল খালেক (৭০), ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার মোছা. জিবু (১৩), মুন্সীগঞ্জের খাদিজা বেগম (৫০), নারায়ণগঞ্জের বন্দরের দক্ষিন সাবদির নুরু মিয়ার ছেলে মো. নয়ন (১৯) ও সাদিয়া (১১)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় মঙ্গলবার ভোর থেকে নয় বছর বয়সের এক শিশুসহ একে একে পাঁচটি মরদেহ ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা তিনটি উদ্ধার করলে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা পুলিশ গিয়ে অপর দুইটি মরদেহ উদ্ধার করে।
নিখোঁজদের স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করলে মরদেহগুলো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের সবার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়।
গত রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে লঞ্চটি সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় গেলে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় নদীতে তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার লঞ্চটি উদ্ধারসহ এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা