সিলেটের সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় গলা, কান ও গোপনাঙ্গ কেটে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন আহমদকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবা-চাচাসহ সাতজনকে সোমবার দুপুরে আটক করেছে পুলিশ। পারিবারিক বিরোধের জেরে তুহিনকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় কিছুটা অমিল পাওয়া গেছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা-চাচাসহ পরিবারের সাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন- তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাসির মিয়া, জাকিরুল, তুহিনের চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।
দিরাই থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রাম থেকে তুহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে গলা, কান ও গোপনাঙ্গ কেটে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। সেই সাথে লাশের পেটে বিদ্ধ করা ছিল দুটি ছুরি। বিদ্ধ ছুরি দুটিতে গ্রামের বাসিন্দা ছালাতুল ও সোলেমানের নাম লেখা ছিল।
গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কেজাউরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের সাথে তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘তুহিন হত্যার ঘটনাটি পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করছে। তুহিনের বাবাসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।’
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা