অনলাইন ডেস্ক
তবে, এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে সক্রিয় হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। অভিযোগ উঠেছে, তারা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন করে ভোট চাইছেন এবং বিভিন্ন সুবিধা-প্রলোভনের আশ্বাস দিচ্ছেন।
প্রচারণার পাশাপাশি চাপ প্রয়োগ ও হুমকি-ধামকির অভিযোগও উঠেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নারী প্রার্থী ফাতেমা তাসনিম জুমার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে হুমকি দিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতারা। তাদের বলা হয়েছে— তোমার মেয়ে কেন ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কথা বলে? এসব করতে থাকলে তার সরকারি চাকরি হবে না।আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নারী শিক্ষার্থীরাও একই ধরনের ফোন পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে, কিছুদিন ধরে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পরিচিত শিক্ষার্থীদের ফোন দিচ্ছিল। তবে আজ থেকে অপরিচিত বিএনপি ও ছাত্রদল নেতারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা ঢাবি শিক্ষার্থীদেরও ফোন দিয়ে আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের জন্য ভোট চাইছেন। তাদেরকে ভোট দিতে চাপ প্রয়োগও করছেন কেউ কেউ।
ভোট চাওয়া হচ্ছে শিবিরের ভিপি প্রার্থীদের জন্যেও। একই অবস্থা অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে।
একাধিক নারী শিক্ষার্থী প্রশ্ন তুলেছেন, স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর কোথা থেকে পেল। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, খুলনার রূপসা উপজেলা ছাত্রলের সেক্রেটারি ইমতিয়াজ আলী সুজন চৈতী নামের এক শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে ছাত্রদলের প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইছেন। ভিডিওতে সুজনকে ছাত্রদলের আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের জন্য ভোট চাইতে দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র মোশাররফ হোসেন, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। এলাকার স্থানীয় বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে ছাত্রদল মনোনীত আবিদুল ইসলাম খানকে তিনি ভোট দেন।
এ বিষয়ে মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি পজিটিভভাবে দেখছি। ডাকসু এখন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শহর থেকে গ্রাম সবার নজর ডাকসু নির্বাচনের দিকে। ৫ আগস্ট পরবর্তী এটাই প্রথম উৎসবমুখর পরিবেশ নির্বাচনের।
ঢাবি শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মাগরিবের ঠিক আগ মুহূর্তে আমাকেও কল দিয়েছিল। ৪ মিনিটের ফোনালাপে আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছি— এভাবে কল দিলে ফলাফল হিতে বিপরীত হবে। অথচ সে উল্টো বলল— ভোট দিলে এলাকায় সুবিধা পাবেন।
ডাকসুর সামাজসেবা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবি জুবায়ের বলেন, আমাকেও ফোন দিয়েছিল, আমার জেলা বরিশাল বিএনপির সেক্রেটারি। ছাত্রদলকে ভোট দিতে বলে। আমি ধমক-টমক দিয়ে রেখে দিয়েছি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা