অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (৬ মে) এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায়ের বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে এখনও রায়ের কপি হাতে পাইনি। আদেশের প্রেক্ষিতে আমাদের আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করব এবং এর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, আমরা যা করেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ীই করেছি। আর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো পদক্ষেপ আমরা নিইনি, নেবও না।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশ করার দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)।
৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি শান্ত আহমেদ বলেন, এই গণবিজ্ঞপ্তিতে ৯০ লাখ আবেদনের গুরুত্ব সংশ্লিষ্ট সবাইকে বোঝা উচিত। এভাবে মামলার বোঝা নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তাছাড়া এনটিআরসিএ এর আইনজীবীরা আদালতের কাছে কীভাবে ইন্টারপ্রেট করে সেটা নিয়ে নিবন্ধনধারীদের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। এটা কি অক্ষমতা নাকি অবহেলা নাকি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত তা খতিয়ে দেখা উচিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। এনটিআরসিএ এর বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে আরও আন্তরিক হতে হবে।এই গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে অনেক বেশি আবেদন করেছে প্রার্থীরা। কোনরকম কোন অবহেলা বা অন্যায় হলে কেউ তা সহজে মেনে নেবে না।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েকদফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধাতালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে। কিন্তু দুই বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন।
সে আবেদনের শুনানি করে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৫৪ হাজার পদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা