শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ৪৯তম অন্তর্ধান দিবস ১০ ডিসেম্বর। একাত্তরের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে রাজধানীর চামেলীবাগের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তিনি ছিলেন একাত্তরের ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞের প্রথম শিকার। শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী ও বার্তা সম্পাদক। এ দেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জনক তিনি।
ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে তিনি এ দেশের বঞ্চিত মানুষের কথা সংবাদপত্রের পাতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন। মহান ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরে অবরুদ্ধ নগরী ঢাকায় তাঁর ক্ষুরধার লিখনী তাঁকে বিশিষ্ট্য করেছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইত্তেফাকের পাতায় তার সাহসিকতাপূর্ণ সম্পাদকীয় ও রিপোর্টের কারণে জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম তাকে হুমকিও দিয়েছিল। ‘ঠগ বাছিতে গা উজাড়’, ‘অধুনা রাজনীতির কয়েকটি অধ্যায়’, ‘এতদিনে’ ইত্যাদি তার প্রকাশিত প্রবন্ধ ও সম্পাদকীয়, যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎহীনতার ইঙ্গিত দেয়।
১৯৪৭ সালের দেশভাগ নিয়ে লেখা তার বই ‘ইতিহাস কথা কও’ বা, ‘লুক ইন টু দ্য মিরর’ আমাদের ইতিহাসের এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন। ‘চিনিল কেমনে’ কিংবা ‘সুকুইজ্জ্যা কডে’ ধরনের অসংখ্য শিরোনাম তিনি করেছেন, যেগুলো এখনও আলোচনার বিষয় হয়ে আছে।
অন্তর্ধান দিবসে তাঁর মোহাম্মদপুরের বাড়িতে বাদ মাগরিব মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধের কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের কবিতা পড়বে আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলন। এ ছাড়াও যশোরের খাজুরায় শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন কলেজে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা এবং শহীদের গ্রামের বাড়ি মাগুরার শরুশুনা গ্রামে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে তার সন্তান জাহিদ রেজা নূর জানান।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা