অনলাইন ডেস্ক
৮৪ বছর বয়সী মুশতারী শফী কিডনি, রক্তে সংক্রমণসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। মুশতারী শফীর ছেলে মেহরাজ তাহসীন শফী জানান, তার মরদেহ মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই দাফন করা হবে।
১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুশতারী শফীর জন্ম। তার বাবার বাড়ি ফরিদপুরে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ এপ্রিল তার স্বামী চিকিৎসক মোহাম্মদ শফী ও ছোট ভাই এহসানুল হক আনসারীকে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দিন পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন বেগম মুশতারী। নারী অধিকার আদায়ে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন মুশতারী শফী। ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে ‘বান্ধবী’ নামে মাসিক সাময়িকী প্রকাশ করেছিলেন। এটি ছিল বাংলাদেশের নারীদের জন্য দ্বিতীয় সাময়িকী।
একাত্তর পরবর্তী সময়ে তিনি ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম সংগঠক। মুশতারী শফী ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি’, ‘জাহানারা ইমামকে’ এবং ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’ প্রভৃতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে শহীদজায়া মুশতারী শফীকে ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি। ২০২০ সালে পান বেগম রোকেয়া পদক এই মহীয়সী নারী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা