অনলাইন ডেস্ক
এমন অভিযোগ করার পর রীতিমতো হতবাক ভক্তরা। এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফারিয়ার প্রাক্তন স্বামী হারুন অর রশীদ অপু। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে অপু লেখেন, পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়টি সত্য নয়। স্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া এটা নিছক ঘটনা ভিন্নদিকে প্রবাহিত করার পরিকল্পনা। আমি জানি না, কেন এতদিন পর কেউ এখন অতিরঞ্জিত গল্প ছড়াচ্ছে।
সম্মান দিয়ে যাওয়ায় অনেকে অপুর সুযোগ নিচ্ছেন, এমনটা জানিয়ে তিনি লেখেন, প্রেম, বিয়ে কিংবা একটা সম্পর্ক- এর মাঝে হাজারটা চড়াই-উৎরাই থাকে। আবেগ, রাগ, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ মিলিয়েই একেকটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার বিয়ের সম্পর্কটি টেকেনি, এটা নিয়ে আমার বিপরীতের মানুষ অনেক বয়ান, স্ট্যাটাস, মতবাদ দিলেও এতদিন পর্যন্ত আমি কিছুই বলিনি, হয়তো আর বলবোও না। ভেবেছি বোবার শত্রু নাই! কিন্তু যা দেখছি অনেকদিন ধরেই, চুপ থেকে সম্মান দিয়ে যাওয়াও আজকাল অনেকে সুযোগ নিয়ে নেয়।
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার অনেক কারণ থাকে বলে মনে করেন অপু। তা জানিয়ে তিনি লেখেন, চাওয়া-পাওয়ার হিসাব অনেক সময়ই মেলে না, তাই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ারও একান্ত অনেক কারণ থাকে। কিছু কারণ একান্তই নিজস্ব, কিছু কারণ সামাজিক, আর্থিক বা বাইরের। মেজাজ গরম, ভালোমন্দ, উগ্রতা একটা সম্পর্কে দুজনের মধ্যেই থাকে। কষ্টের মুহূর্তও দুই দিকেই থাকে। খারাপ সময়ে কেউ একলা আসমানে তাকায় থাকে না, দুজনই তাকায়। ব্যথা একদিকে হয় না, আলাদা হলে দুদিকেই ব্যথা থাকে। তবু সবসময়ই চেয়েছি যে বিপরীতের মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সবার কাছে স্বাভাবিকভাবেই উপস্থাপন করতে।
অভিযোগের অনেক কথা থাকলেও আমার ক্ষেত্রে এক কথায় বললে- বনিবনা হয়নি অথবা সময়ের টানে নিজেদের নিজেরা হারিয়ে ফেলেছিলাম- এগুলো বলেই সবাইকে উত্তর দিয়ে আসছিলাম এতোদিন। অভিযোগ দুইদিকেই থাকে, কেউই সন্নাসী লেভেলে থাকি না আমরা। দিনের পর দিন কারো আসমান সমান অভিযোগ থাকলে, আরেকদিকে পাহাড় সমান থাকারই কথা। অভিযোগ পুঁজি করে নিজেকে সাধু সাজিয়ে ভিকটিম হিসেবে প্রকাশ করা অনেকের অভ্যাস হতে পারে- তবে এই পথে এখনো যেতে পারিনি।
সংসার ভাঙার কারণ সুষ্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা না করলেও কিছুটা ইঙ্গিত দিয়ে অপু লেখেন, শ্রদ্ধাশীলতা খুব বড় একটা পয়েন্ট আজকাল। একেকজনের পার্সপেক্টিভ থেকে যার যার কষ্ট বা দুঃখের আলাদা আলাদা ভার্সন থাকে। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। কেন ঘর ভাঙলো? কেন আলাদা হলেন—এই প্রশ্নগুলো একান্তই নিজস্ব। উত্তর জেনে আপনাদের চটকদার নিউজ ছাড়া কিংবা কমেন্টে লাভ/অ্যারি রিয়েকশনের বাইরে কেউই আসবে না। এই পার্সপেক্টিভ আলাদা হয়ে গিয়েছে দেখেই হয়তো আমরা এককভাবে আর চিন্তা করতে পারছিলাম না। তাই হয়তো আলাদা হওয়া। তবু ভাঙা আঙ্গুলের গল্পটা রয়েই যায়, তাই তো? বরং ঘটনাটা শুরু হলো কীভাবে, ভাঙলো কীভাবে- এটা হয়তো জানার দরকার বিপরীত পাশ থেকেই। না হয় একদিক দোষী মনেই হয়! রাগের মাথায় উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার গল্প বলতে গেলে হয়তো প্রতিটি কাপলেরই লিঙ্গ নির্বিশেষে আজ ‘মী-টু’ স্ট্যাটাস দিতে হবে!
সংসার ভাঙার পর ভালো আছেন অপু। তা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, কেউ যদি সহজেই হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে, তারও উচিত সাবলীল এবং সৃষ্টিশীল গঠনমূলক কথায় নিজের ইমেজকে বিকাশ করা। ইনফ্লুয়েন্সার আসলে যে কী- এটা হয়তো অনেকেই বুঝতে চান না! যাই হোক, গুজবের মতো এক শ্রেণির মানুষ উহাই অনুসরণ করে যাবেন আর ইনবক্সে গালি দিয়ে যাবেন। কিন্তু যাচ্ছেতাই কমেন্ট/স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেও রসিকতার পাত্র হয়ে লাভ নেই, আর অন্যকেও হাসির মাঝে ফেলে লাভ নাই। তবু নিজেকে প্রায়ই এটা বলেই সান্ত্বনা দিই যে হয়তো বিপরীতের মানুষটি অশান্তিতে আছে দেখেই এমন মনোভাব পোষণ করছে। নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে নিজেই অশান্তিতে থাকলে তখন অনেকেই চেষ্টা করেন বাকি মানুষটাকেও ছোট প্রমাণ করতে। প্রায় সময়ই আমরা অশান্তিতে থাকলে নিজেদের বেসামাল করে কথা বলে ফেলি। অন্য কেউ ভালো থাকলে আবার টেনে নামানোর চেষ্টাও হয়তো করেন কেউ। আল্লাহর অশেষ রহমত! আলহামদুলিল্লাহ অনেক শান্তিতে আছি, আল্লাহ এখন পরিবার নিয়ে সুস্থ এবং ভালো রেখেছে। ‘
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা