অনলাইন ডেস্ক
সাপ্তাহিক ও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢল নেমেছে ভ্রমণ পিপাসুদের। লোকে লোকারণ্য সমুদ্র সৈকত। রোববার পর্যন্ত সব হোটেল-মোটেলে বুকিং হয়েছে। তবে সেন্টমার্টিন যেতে না পারায় ক্ষোভ জানিয়েছেন কেউ কেউ। পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে, সাগরকন্যা কুয়াকাটার সৈকতেও পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটির সাথে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হয়ে টানা চারদিন ছুটি চলছে দেশে। আর এই সুযোগে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে নেমেছে পর্যটকের ঢল। পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ভ্রমণপিপাসুরা সৈকতের শীতল বাতাসে প্রাণ জুড়াচ্ছেন। হিমছড়ি, ইনানি, দরিয়া নগর পাটুয়ার টেকসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
কক্সবাজারে রোববার পর্যন্ত হোটেল-মোটেলে জায়গা নেই। দুযোর্গপূণ আবহাওয়া ও রাজনৈতিক অস্থিতিরতার পর ভালো ব্যবসার আশা করছেন হোটেল ব্যবসায়ী হোসেন মোহাম্মদ আমজাদ।
পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের সাথে কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। তদারকি করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায়ও পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সৈকতে বাঁধ ভাঙা আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন পর্যটকরা। পর্যটকের সমাগম ঘিরে হোটেল-রেস্তোরাঁ, শুঁটকি, শামুক-ঝিনুক দিয়ে তৈরি রকমারি পণ্যসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা চাঙা হয়ে উঠেছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোন এর পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন।
দীর্ঘ সময় পর পর্যটকের বাড়তি উপস্থিতিতে হাসি ফুটেছে পর্যটনের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের মুখেও।