অনলাইন ডেস্ক : লেবাননে ফিলিস্তিন ও সিরীয় শরণার্থী ক্যাম্পে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। তাদেরকে সহায়তা প্রদান করার জন্যে সাহায্য সংস্থাগুলো শরণার্থী শিবিরে গেছে বলে জানা গেছে। কয়েক দশক ধরে লেবাননের জনাকীর্ণ শরণার্থী ক্যাম্পে হাজার হাজার ফিলিস্তিনী বসবাস করে আসছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ১৫ লাখ শরণার্থীও লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে। খবর : বাসস এর। কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত ক্যাম্পের বাইরে একজন ফিলিস্তিনী এবং তিনজন সিরিয়ানের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। লেবানন জুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২০ এবং মারা গেছে ১৭ জন। কিন্তু গাদাগাদি করে থাকা এসব ক্যাম্পে পানির মতো মৌলিক সেবার যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেখানে করোনার মতো ভাইরাস শিবিরগুলোকে ভয়ংকর ঝুঁকির মধ্যেই ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র নারী মুখপাত্র হুদা সামরা বলেন, মূল উদ্বেগ হলো গাদাগাদি করে থাকা ফিলিস্তিন শরণার্থী শিবিরে হোম আইসোলেশনের সুবিধা খুবই সীমিত। তাই সংস্থাটি প্রয়োজনে কোয়ারাইনটাইনে রাখার জন্যে ক্যাম্পের ভেতর আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের চেষ্টা করছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, একই সমস্যা দেশটির পূর্বাঞ্চলের সিরিয়ান শরণার্থী শিবিরেও। করোনায় আক্রান্ত জটিল রোগীকে প্রয়োজনে লেবাননের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সমস্যা হলো সেখানেও পর্যাপ্ত বেড নেই। এদিকে সাহায্য সংস্থাগুলো সিরীয় ও ফিলিস্তিন উভয় শিবিরেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল বলেছে, তারা পানি সরবরাহ বাড়িয়েছে এবং উভয় শিবিরে সাবান ও ব্লিচ দিয়েছে।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা