অনলাইন ডেস্ক
এছাড়া করোনা ও লকডাউনের কারণে অনেক শ্রমিক ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায় স্বল্প শ্রমিক দিয়ে গত তিনদিন কাজ করিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা।
সরেজমিনে সাভার চামড়া শিল্প নগরী ঘুরে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি ট্যানারির মূল ফটক বন্ধ রয়েছে। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি ট্যানারির মূল ফটক খোলা থাকলেও সেখানে গিয়ে লক্ষ্য করা যায়নি ট্যানারি শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা।
শ্রমিক সংকটের বিষয়ে ট্যানারি শ্রমিক মো. মফিজ বলেন, করোনা এবং লকডাউনের কারণে কারিগর পাওয়া যাচ্ছেনা। ঢাকা থেকে কারিগর না আসায় অনেক চামড়ায় লবণ লাগানো সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমি হাজারীবাগ থেকে ত্রিশ টাকার ভাড়া দেড়শ টাকা দিয়ে সাভারে এসেছি। এখানে যারা কাজ করে সবাই স্বল্প আয়ের লোক, তাই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অনেকে কাজে আসেনি। তাই লোকবলের অভাবে প্রায় প্রতিটি ট্যানারির বিপুল সংখ্যক চামড়া নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ট্যানারিটির কাঁচা চামড়ার দায়িত্বে থাকা কালাম মুন্সী গরমের সময়টা কোরবানির অনুকূলে নয় দাবি করে বলেন, শীতের সময় একটি চামড়া ৮ ঘণ্টার জায়গায় ১০-১২ ঘণ্টাও রাখা যায়। কিন্তু গরমে ৮ ঘণ্টা একটি চামড়া লবণ ছাড়া রাখা অসম্ভব।
তিনি অভিযোগ করে জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার এখনও পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় ইউরোপিয়ান বায়াররা আমাদের কাছ থেকে চামড়া ক্রয় করছে না।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা