মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা ১১ লাখের বেশী রোহিঙ্গাকে মানবিক আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ যে উদারতা দেখিয়েছেন তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে গেড়ে বসায় এবং রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত যাবার বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবার কারণে সমস্যার নানামুখী জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে এ পর্যন্ত ৮ হাজার একরের বেশি বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর্থিক মূল্যে এই ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার ৪২০ কোটি টাকারও অধিক।
সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে বন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে কক্সবাজারের পর্যটন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি সে অঞ্চলের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যও বিনষ্ট হচ্ছে।
কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের কারণে বাজারে মাছ-ডিম শাকসব্জির দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া অপরাধ বেড়ে যাবার কারণে স্থানীয়রা অনেকটা নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যেও পড়েছে।
ওদিকে, জাতিসংঘের চলতি সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মানবাধিকার বিষয়ে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ খান এমপি বলেছেন, একজন রোহিঙ্গা সদস্যও মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি নয়, যতক্ষণ না তারা নিশ্চিত হচ্ছে যে মিয়ানমার তাদের নিরাপত্তা, জীবিকা, ন্যায়বিচার ও অধিকার রক্ষার বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা দিবে। তাই টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে হলে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে; প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে তাদের আস্থা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে’।
এদিকে জার্মানি সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য জার্মান সরকারের প্রতি অনুরোধ করেছেন।পার্সটুডে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা