রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে থাইল্যাণ্ড। দেশটির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত অরুণরুং ফোতোং হামফ্রেজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে দেখা করতে এসে এ আশ্বাস দেন।
থাই রাষ্ট্রদূত ইস্যুটিতে কাজ করার এবং এ ব্যাপারে ঢাকার উদ্বেগের বিষয়টি তার সদরদপ্তরকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, আসিয়ানের বিদায়ী সভাপতি হিসেবে থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা সংকট ও এর একটি টেকসই সমাধান বের করার বিষয়টিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিচ্ছে।
মোমেন বলেন, দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য থাইল্যান্ডের পক্ষেই রয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৪ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানী করেছে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে দ্রুততম সময়ে স্বল্পব্যয়ে যক্ষ্মা নির্ণয়ে নতুন কৌশল আবিষ্কার
তিনি বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে দু’দেশের মধ্যে যে ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে তা হ্রাস করা সম্ভব। বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে মুনাফা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য যে কোন দেশের চেয়ে বেশি।
মোমেন বলেন, থাইল্যান্ডের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে যৌথ-মালিকানায় হাসপাতাল স্থাপন করলে দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে।
তিনি বাংলাদেশে পর্যটনের উপর প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি স্বক্ষমতা গঠন কর্মসূচি আয়োজনের জন্য থাই রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
থাই রাষ্ট্রদূত জানান যে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে তার মিশন থেকে ইতোমধ্যেই ব্যাংককে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাইল্যান্ডের কারিগরি সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে আশ্বাস দেন।
তিনি জানান যে ঢাকাস্থ থাই দূতাবাস ঢাকা অথবা ব্যাংককে শিগগিরই একটি বিজনেস ফোরাম স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
লাল সবুজের কথা’র ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা