রেল প্রকল্পগুলোতে ভারতীয় ঠিকাদার এবং কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আলাদা বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস এর সঙ্গে রেলমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন।
এসময়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রকল্পগুলোতে কাজের গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখার বিষয়ে ভারতীয় হাই কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়।
বৈঠকে,ভারতের পক্ষ থেকে রাজশাহী থেকে মালদহ হয়ে কলকাতা পর্যন্ত একটি আন্তদেশিক নতুন ট্রেন চালু করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।এসময় উভয় পক্ষে সিদ্ধান্ত হয় যে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলমের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান ভারতীয় অর্থায়নে যেসব প্রকল্প চলছে সেগুলো বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়াও রেলপথ মন্ত্রীর ভারত সফরে যে সকল বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল সেসব বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ভারতের পক্ষ থেকে একটি ছোট্ট আইসিডি(ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে আলোচনায় বলা হয় সিরাজগঞ্জ বাজারে একটি ছোট্ট পরিসরে আইসিডি নির্মাণ করা হবে। আইসিডি নির্মাণের লক্ষ্যে জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষের সম্মতিতে অবকাঠামো নির্মাণসহ বাকি কাজগুলো করা হবে।
ভারত থেকে ২০ টি লোকোমোটিভ সরবরাহ বিষয়ে বলা হয় কারিগরি দল পরিদর্শন করে বিভিন্ন শর্তাবলী ঠিক করে ইঞ্জিনগুলো দ্রুত আনার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
এলওসি এর অর্থায়নে চলমান তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প খুলনা-মংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় চতুর্থ রেললাইন এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প বিষয়ে এবং সৈয়দপুর ও পাহাড়তলী ওয়ার্কসপ আধুনিকায়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ বৈঠকের সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামসুজ্জামান সহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং ভারতীয় হাইকমিশনার ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রেলওয়ে উপদেষ্টা অনিতা বারিকসহ ৩ জন প্রতিনিধি এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।