অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে পাঁচটায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাথে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর থেকেই পলিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সাহেদ। তাকে ধরতে গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুসন্ধান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অবশেষে বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার সাকড়া বাজার এলাকার নবপতি ৩৩ বিজিবির পাশের সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাহেদ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলো বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে র্যাব। তাকে দুপুরের আগেই র্যাবের হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনার কথা রয়েছে।
এর আগে গাজীপুর থেকে সাহেদের অন্যতম সহযোগী ও রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, চুক্তি ভঙ্গ করে করোনা রোগীদের থেকে বিল আদায়, টেস্ট না করে ভুয়া সনদ দেওয়াসহ নানা অভিযোগে গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালায়। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখায় আবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় র্যাব। পরের দিন হাসপাতালটির মিরপুর শাখাও সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলাটি ঢাকা মহানগর উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন-রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ (৪৩), ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), অ্যাডমিন আহসান হাবীব (৪৫), এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক (৩৩), গাড়িচালক আব্দুস সালাম (২৫), নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮), হাসপাতালের কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২) এবং মাহবুব (৩৮)। এছাড়া দুই জনের নাম জানা যায়নি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা