অনলাইন ডেস্ক
রোববার (৮ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরাম স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অজি পেসারদের তপের মুখে পরে ভারত। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ভারতীয় ওপেনার ইশান কিশানকে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক। এই অজি পেসারের ফুল লেন্থের ডেলিভারিটি ইশানের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যামেরুন গ্রিনের হাতে ধরা পড়ে। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
পরের ওভারেই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন অজি পেসার হ্যাজেলউড। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার’স কলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ৪ নম্বরে নামা শ্রেয়াস আইয়ারও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। হ্যাজেলউডের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের গুড লেন্থের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন। তার বিদায়ে ২ ওভারে মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ভারত।
এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে আসেন লোকেশ রাহুল। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে সঙ্গী করে ম্যাচের হাল ধরেন কোহলি। শুরুতে একদম ধীর গতিতে দেখেশুনে মোকাবিলা করেন হ্যাজেলউড আর স্টার্কদের। তবে উইকেটে থিতু হয়ে রানের চাকা ঘোরাতে শুরু করেন এই দুই ব্যাটার।
ইনিংসের ২৬তম ওভারে প্যাট কামিন্সের বলে দুই রান নিয়ে কোহলি ৭৫ বলে পূর্ণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬৬তম অর্ধশতক। সেই সাথে দলীয় শতরান পেরিয়ে যায় ভারত। এরপর ৭২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ায়রের ১৬তম অর্ধশতক তুলে নেন লোকেশ রাহুল। ২৭তম ওভারে রাহুল এবং কোহলির জুটির শতরানও পূর্ণ হয়। সেই সাথে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে তুলে নেয় ভারত।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন কোহলি। তবে হ্যাজেলউডের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে ফিরতে হয় ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে।
কোহলি ফিরলেও অবিচল ছিলেন রাহুল। সেঞ্চুরি না পেলেও ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। অপরাজিত ছিলেন ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। তাকে সঙ্গ দেয়া হার্দিক পান্ডিয়াকে অবশ্য ১১ রানের বেশি করতে হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হ্যাজেলউড তিনটি এবং স্টার্ক একটি উইকেট নেন।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মিচেল মার্শের উইকেট হারায় অজিরা। রানের খাতা খোলার আগে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে ভিরাট কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এ ওপেনার। এরপর উইকেটে এসে ওয়ার্নারকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন স্মিথ। মোহাম্মদ সিরাজ-জাসপ্রিত বুমরাহদের বলে দারুণ ব্যাটিং করেন দু’জনে। ভারতীয় বোলারদের বাজে বল পেলেই বাউন্ডারিতে পরিণত করেন এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেট জুটি গড়েন ৬৯ রান। তবে দলীয় ৭৪ রানের মাথায় কুলদীপ যাদবের বলে তাকেই ক্যাচ তুলে দেন ওয়ার্নার। ৫২ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪১ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে লড়াই চালান স্মিথ। তাদের জুটিতে দলীয় শতকও ছাড়িয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া, স্মিথও ব্যক্তিগত ফিফটির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান রবীন্দ্র জাদেজা। বাঁহাতি এই স্পিনার দ্রুতই ৩ উইকেট তুলে নেন। স্মিথ ৪৬, লাবুশেন ২৭ ও অ্যালেক্স ক্যারি ০ হাতেই বিদায় নেন। এতে ১১০ রানে ২ উইকেট থেকে ১১৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে অজিরা।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও পারেননি অজিদের সংগ্রহ বাড়াতে। কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৫ রান করা ম্যাক্সওয়েল। ক্রিজে এসে প্যাট কামিন্স খানিকটা চড়াও হতে চাইলেও বড় শট খেলতে গিয়ে জসপ্রিত বুমরাহর বলে লং অফে শ্রেয়াস আইয়ারকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ৪৯তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কোহলির হাতে ক্যাচ দেন ৬ রান করা অ্যাডাম জ্যাম্পা। শেষ দিকে মিচেল স্টার্ককে ব্যক্তিগত ২৮ রানে আউট করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে দেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
ভারতের হয়ে ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন রবীন্দ্র জাদেজা। দু’টি করে উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদব। একটি করে উইকেট শিকার করেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ সিরাজ ও হার্দিক পান্ডিয়া।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা