অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন’এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জারিকৃত বিধি অনুসারে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির ওপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করা হবে। এতে তাকে স্থায়ীভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম করে দেয়া হবে। সোজা কথায় বলতে গেলে, চিহ্নিত ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্ধা এবং একই সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অপারগ করে দেয়া হবে রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে। এই আইন দ্বারা স্থাপিত চিকিৎসকদের বিশেষ একটি বোর্ড এই বন্ধাকরণটি সম্পন্ন করবে।
বুধবার অন্যান্য ৩৩টি বিলের সাথে পাশ হয় অপরাধমূলক আইন (সংশোধনী) বিলটি। তবে এই আইনকে শরিয়ত বিরোধী মন্তব্য করে পাকিস্তানের জামাত-ই-ইসলামির সিনেটর মোশতাক আহমদ বলেন, এই আইন সম্পূর্ণ শরিয়ত বিরোধী। শরিয়তে একজন ধর্ষককে জনসম্মুখে ঝুলিয়ে দেয়ার অনুমতি আছে। তবে কাউকে স্থায়ীভাবে বন্ধা করে দেয়ার কোনো নিয়ম নেই।
পাকিস্তানে যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের যত অভিযোগ দায়ের হয়, তার মধ্যে মাত্র চার শতাংশের ক্ষেত্রে সাজা নিশ্চিত করা যায়। অথচ লাগামছাড়া ভাবেই এ দেশে বেড়ে চলেছে ধর্ষণ। বছর দুয়েক আগেই কাসুর শহরের বাসিন্দা, সাত বছরের এক শিশুকন্যার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘিরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল পাকিস্তানে। এ দেশে শিশুকে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাপ বাড়ছিল পাক প্রশাসনের উপরে।
এর জেরে পার্লামেন্টে এ আগে ধর্ষকদের লিঙ্গচ্ছেদের প্রস্তাব উঠলেও সে সাজা কিছুটা নমনীয় করে বন্ধা করার সিদ্ধান্ত নিলো পাকিস্তান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা