অনলাইন ডেস্ক
আল জাজিরা জানিয়েছে, নির্বাচনে হস্তক্ষেপসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশি কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার জেরে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ সরকারের ঋণ লেনদেনকারী মার্কিন ব্যাংকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কার ও ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দায়ে ৩২ জন রুশ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। ‘রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি উসকে দিতে বা দ্বন্দ্ব অব্যাহত রাখতে আগ্রহী নই; বরং স্থিতিশীল সম্পর্ক চাই।’
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে রাশিয়ায় সাইবার কার্যক্রম পরিচালনাকারী ছয়টি রুশ সংস্থাসহ আরও ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। অপপ্রচার থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া বহিষ্কৃত ১০ কূটনীতিকই রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
এ পদক্ষেপের ফলে বাইডেন-পুতিন বৈঠক আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে ক্রেমলিন।
এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই রাশিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি জন সুলিভানকে বুধবার তলব করে ক্রেমলিন। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুসম্পর্ক চাইলে এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে ওয়াশিংটনকে।
গত বছর ‘সোলার উইন্ডস’ হিসেবে পরিচিত হ্যাকিংকাণ্ডের জবাবে বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। সে সময় বহুল ব্যবহৃত একটি সফটওয়্যারে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে নয়টি সংস্থার নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ করে রুশ হ্যাকাররা।
ওয়াশিংটনের অনুমান, সরকারের গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়েছিল হ্যাকাররা।
এ ছাড়া গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, নভেম্বরের নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের পর পুনর্নির্বাচনের জন্য তাকে সহযোগিতার লক্ষ্যে বেশ কিছু কার্যক্রমে অনুমোদন দিয়েছেন পুতিন। যদিও এ অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
দুটি অভিযোগই প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।
পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরোধী মত ও সংবাদকর্মীদের দমন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরিরও অভিযোগ রয়েছে ওয়াশিংটনের। ইউক্রেন ও ক্রিমিয়ায় কোনো ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালনায় মস্কোকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ২০১৯ সালে ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলেও দেশটি থেকে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছিল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা