রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মেসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারন করে টাকা দাবির ঘটনা ঘটেছে। জানা যায় যে, গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহফুজুর রহমান সারদ বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে উক্ত ছাত্রীকে তার মেসে নিয়ে যায়। পরে উক্ত ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সারদ তার বন্ধু নগরীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র প্লাবন, রাফসান, জয়, জীবন ও বিশালকে দিয়ে ধর্ষণের দৃশ্যের ভিডিও করে উক্ত ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় মতিহার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতায় লক্ষ্য করছে যে, বর্তমানে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গণপরিবহণসহ সর্বত্র নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এবং নারী ও শিশুর স্বাধীন চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের যথাযথ শাস্তি, ঘটনার শিকার ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা, নারীর স্বাধীন চলাচল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে সারাদেশে এ ধরনের ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, ধর্ষণের ঘটনায় শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহনসহ ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা