অনলাইন ডেস্ক
কারা সূত্রে জানা গেছে, হাজতি এবং কয়েদি মিলে এখানে প্রতিদিন গড়ে অন্তত তিন হাজার বন্দী থাকেন। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত ছিলেন ২ হাজার ৯৩৩ জন। এদের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলছেন, তাঁদের সতর্কতা সুরক্ষা দিয়েছে বন্দীদের। তিনি বলেন, নতুন কোন বন্দী এলে কারাফটকেই তাঁর পুরনো মাস্ক ফেলে দিয়ে নতুন মাস্ক দেওয়া হয়। ফটকেই হাত-পা ধুইয়ে তাঁকে ভেতরে নেওয়া হয়।
এরপর নতুন বন্দীদের কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। চারটি কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ড করা হয়েছে কারাগারে। সেখানে নতুন বন্দীরা ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকেন। এরপর তাঁদের অন্য সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ডে নতুন বন্দীকে নেওয়ার পরই তাঁর গোসল নিশ্চিত করা হয়। বন্দীর পরনে থাকা কাপড়-চোপড় ধুয়ে নেওয়া হয়। কারও কাছে পরনের ছাড়া অন্য কোন পোশাক না থাকলে তাঁকে কারাগার থেকে নতুন পোশাকও দেওয়া হয়।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বন্দীর করোনা পজিটিভ হয়েছিল। ওই বন্দী এক মাস আগে থেকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন। সেখানেই করোনায় সংক্রমিত হন। করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।
রাজশাহীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৫ মে। এরপর এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮২৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন ২৫ হাজার ৪৭৬ জন। মারা গেছেন ২৮৯ জন। গত জুনে রাজশাহীতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার পৌঁছেছিল ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। তখন হাসপাতালে রোগী রাখার মতোও জায়গা ছিলো না। এখন সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। হাসপাতালেও শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা এখন কম।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা