অনলাইন ডেস্ক
এদিকে, মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে আটজনই রাজশাহীর বাসিন্দা। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন ও নাটোরের একজন রয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ছাড়া ২২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন, ১ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে এবং ১৬ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও চারজন নারী। এর মধ্যে ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন ও ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন রয়েছেন।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মোট ২৯৭ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন।
জানা গেছে, রামেক হাসপাতালে করোনা রোগীদের চাপ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বর্তমানে নয়টি ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডে ২৭১টি শয্যা থাকলেও আজ শুক্রবার সকালে সেখানে রোগী ভর্তি ছিল ২৯৭ জন। বাড়তি রোগীদের ওয়ার্ডগুলোর বারান্দা ও মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের প্রায় সবারই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে যে ২৯৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪২ জনই রাজশাহীর। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১০ জন, নওগাঁর ২৪ জন, নাটোরের ১৫ জন এবং পাবনা ও কুষ্টিয়ার তিনজন করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীরা অনেক দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। আক্রান্ত হওয়ার একপর্যায়ে যখন দেখতে পাচ্ছেন আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না তখন হাসপাতালে আসছেন। রোগীরা দেরি করে ফেলায় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে চিকিৎসা দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। তখন সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা