অনলাইন ডেস্ক
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একমাত্র পথ হচ্ছে এদেরকে (আওয়ামী লীগ) সরিয়ে দিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা, পার্লামেন্ট তৈরি করা। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, আমরা সবাই রাজপথে নেমে আসি।’
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ৭ মাসে ৮৪ জন নিহত হয়েছে এবং সব তাদের লোক। তারা নিজেরা নিজেরা এখন মারামারি করে। কারণ বিরোধী দল তো নাই।’
এদিকে স্মরণ সভা উপলক্ষে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়েছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে। নেতাদের বক্তৃতার সময় মূল মঞ্চের দুই পাশে কথা বলছিলেন উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য দিতে এসে তাদের বক্তৃতা শোনার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু নেতা-কর্মীরা কর্ণপাত না করায় এক পর্যায়ে তারা বলেন, ‘কথা শুনতে না চাইলে কক্ষের বাইরে চলে যান অথবা আপনারা মাইকে এসে কথা বলেন, আমরা মঞ্চে বসে শুনি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দেওয়ার সময়েও বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকে। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ডায়াস থেকে তিনি নিজের আসনে বসে পড়েন। হট্টগোল দেখে তিনি বলেন, ‘কীভাবে কথা বলবেন। দেখুন এখানে ইয়াং ছেলেরা আছে, তরুণরা আছে। হয় তারা ছাত্রদল, না হয় যুবদল, না হয় স্বেচ্ছাসেবক দল অথবা মহানগরের নতুন কমিটি ছেলেরা। তারা তো এখানে কথা শুনতেই আসেনি। অনেকে বহুবার বলেছেন এখানে। কিন্তু আমরা কেউ কর্ণপাত করছি না। আমাদের এই কান দিয়ে ঢুকে ওই কান দিয়ে বেরিয়ে যায়।’
এই সময়ে দলের সঞ্চালক শামীমুর রহমান মাইকে এসে বলেন, ‘আপনারা চুপ করেন। কেউ কথা বলবেন না প্লিজ। মহাসচিব এখন বক্তব্য রাখবেন। সবাই বসে পড়েন। শান্ত হয়ে বসেন। আমাদের সংগ্রামী মহাসচিব স্যার কথা বলছেন।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা