অনলাইন ডেস্ক
প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীরা জানান, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে ১৭ জন যাত্রীসহ আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে আগুনমুখা নদীর মাঝখানে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ১৭ যাত্রী এবং একজন চালকসহ স্পিডবোটটি তলিয়ে যায়। পরে দেড়ঘন্টা পর দুইটি স্পিডবোট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে জীবন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু পাঁচজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্পিডবোট মালিক কর্তৃপক্ষ। তবে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭ টায় এ রিপোর্ট পাঠানোর আগ পর্যন্ত নিখোঁজ যাত্রীদের কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
কোড়ালিয়া লঞ্চ ঘাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, একঘন্টা অতিবাহিত হলেও স্পিডবোটটি গন্তব্যে পৌঁছায়নি। পরে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ দেড় ঘন্টা পর উদ্ধার অভিযান শুরু করে। উদ্ধার হওয়া রাঙ্গাবালীর বাহেরচর কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রচন্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটের সামনের অংশের তলা ফেটে যায়।
উদ্ধার হওয়া একাধিক যাত্রী জানায়, আমরা বার বার চালককে স্পিডবোট ঘুরিয়ে ঘাটে নিয়ে আসতে বলেছি। কিন্তু সে আমাদের কথা শোনেনি।
কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটের আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের কোড়ালিয়াঘাটের ম্যানেজার বশির উদ্দিন বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, খবর শুনেছি। আমরা ঘাটে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ১৭ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট ছাড়ার কথা নয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে স্পিডবোট ছাড়াও ঠিক হয়নি। আমি ঘাটে এসেছি, খোঁজ খবর নিচ্ছি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক কাজা সাদিকুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্প্রীড বোর্ড চালানোর অভিযোগে সংশ্লিষ্ঠ কোম্পানির নামে মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে তাদের রুট পারমিটও বাতিল করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। =
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা