অনলাইন ডেস্ক
এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রয়েছে মাছের বাজারে। পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে নানা সবজির দাম। একই চিত্র দেখা গেছে মুরগির বাজারেও।
আকার ও মুরগিভেদে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। দাম বাড়তি রয়েছে ডিম, ডাল, চাল, লেবু, ধনিয়াপাতা, পুদিনা পাতার।
তবে আদার দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে রসুনের দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ বাজার। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে এ পণ্যটি।
সকালে রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, পল্টন, মতিঝিল, শান্তিনগর এলাকায় কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
দাম বেড়েছে মুরগির। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, বাজারভেদে লেয়ার ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে।
দাম বড়েছে মাছের বাজারেও। কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এসব বাজারে প্রতিকেজি মলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৬০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, হরিণা ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাঁচকি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাতল ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দাম বেড়ে প্রতি এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
বাজারে কমেছে আদার দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা কমে বর্তমানে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। তবে বাড়তি রয়েছে রসুনের বাজার। কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পণ্যটির দাম। বর্তমানে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০ টাকা কেজিদরে। অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ বাজার। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
বাজার গুলোতে সবজি পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রকারভেদে প্রতিকেজি সিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, উস্তা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে, বড় কচু ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পুদিনা পাতা ১৪০ টাকা, ধনিয়াপাতা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। প্রতি হালি লেবু (ছোট) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বড় সাইজের লেবু ৬০ থেকে ৭০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
শসা ও বেগুনের দাম সবচেয়ে বেড়েছে। প্রতিকেজি বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, মহিষের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
দাম বাড়তি রয়েছে ডিমের বাজারে। প্রতি ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে বিভিন্ন ডিমের। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, দেশি মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০, হাঁস ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, কোয়েল (প্রতি ১০০ পিস) ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট পুরান ৬৫ টাকা, ৬০ টাকা কেজি, বাসমতী ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা, এক সিদ্দ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা, পাইজাম ৪২ টাকা, প্রতিকেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা ।
বাজারে প্রতিকেজি অ্যাঙ্কর ৫০ টাকা, ডাবরি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, মসুর (মোটা) ৯০ টাকা। প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪৬০০ থেকে ৫৫০০ টাকা কেজি দরে, জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৩৬০০ টাকা। জায়ফল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে।
রমজানের আগে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতারা বলছেন রমজানে অতি মুনাফালোভী বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেন, আর বিক্রেতারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বাজারে মালমালের আমদানি না থাকায় বাড়তি দাম।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা