রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ এনেছে সংস্থার সভাপতি সঙ্গীত শিল্পী তপন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তারা যৌথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, কতিপয় কিছু শিল্পী গোপনে সংস্থার নাম নিবন্ধন এবং সিগনেটরি পরিবর্তনের আবেদন তৈরি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্থা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের কল্যাণে গচ্ছিত অর্থ হস্তগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। যার কারণে সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সমাজসেবা অধিদফতর।
তপন মাহমুদ ও পীযূষ বড়ুয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রচার-প্রসারে এবং সঙ্গীত শিল্পীদের আর্থিক কল্যাণে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থার অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১৫ দিনের নোটিশ দিয়ে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে নতুন কমিটি করার বিধান থাকায় তা অনুসরণ করে গত ৩০ আগস্ট সংস্থার সাধারণ সভায় সাধারণ সদস্যদের গোপন মতামতের (গোপন ব্যালট) ভিত্তিতে আগামী দু’বছরের জন্য তপন মাহমুদ সভাপতি ও পীযূষ বড়ুয়া সাধারণ সম্পদক পদে নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন : ২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে ‘আলফা’ ও ‘চন্দ্রাবতী কথা’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন বিরোধী ২/১জন শিল্পীর প্ররোচনায় সংস্থার সুনাম নষ্ট করা ও নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে দুঃখজনকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে সমাজসেবা দফতর থেকে কয়েকজন দলছুট শিল্পী (যাদের অধিকাংশই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ ও পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন) অত্যন্ত গোপনে সংস্থার নাম নিবন্ধন এবং সিগনেটরি পরিবর্তনের আবেদন তৈরি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্থা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের কল্যাণে গচ্ছিত অর্থ হস্তগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নিবন্ধন হবার আগেই সংস্থা নেতৃত্ব বিষয়টি জানতে পেরে সঠিক তথ্য ও প্রমাণ দেয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদফতর তাদের সে নিবন্ধন প্রক্রিয়া স্থগিত করে এ বিষয়ে গত ১৭ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
বিবৃতিতে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আর বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানটিও বিষয়টি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পদককে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারপরেও সে মহলটি সংস্থার নাম তাদের পক্ষে নিবন্ধন করেছেন বলে দাবি করে শিল্পী এবং রবীন্দ্রানুরাগীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। রবীন্দ্র চেতনাবিনাশী এ সব কর্মকাণ্ডে আমরা স্তম্ভিত, লজ্জিত ও দুঃখিত এবং এতে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এদেশের রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীবৃন্দ, ক্ষতি হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সুস্থ ধারার বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার অগ্রযাত্রা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আশা করি সবার শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং ব্যক্তিকেন্দ্রীক স্বার্থপরতা বাদ দিয়ে সবাই রবীন্দ্রালোকে উদ্ভাসিত হবেন।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা