অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার এমএসএনবিসি টিভি সাক্ষাৎকারে যৌন হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, “ না এটি সত্য নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবেই বলছি; এটি কখনও, কখনওই ঘটেনি।”
বাইডেন তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার নানা অভিযোগ ওঠার পর চাপের মুখে এই প্রথম জনসম্মুখে বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন।
বাইডেনের কাছে যৌন হেনস্তা হওয়ার অভিযোগ গত মাসেই পুলিশের কাছে করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার তারা রিড নামের ওই নারী।
১৯৯২-৯৩ সালে এই নারী বাইডেনের সিনেট কার্যালয়ে তার সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। বাইডেন তখন ছিলেন ডেলাওয়ারের সিনেটর।
রিডের অভিযোগ, ওই সময়ই কংগ্রেসের একটি হলে তাকে দেওয়ালের সঙ্গে ঠেসে ধরে শার্ট এবং স্কার্টের নিচে হাত ঢুকিয়ে হেনস্তা করেন বাইডেন। তখন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বাইডেনের এই আচরণ নিয়ে অভিযোগও করেছিলেন বলে জানান রিড।
যুক্তরাষ্ট্রে এবছর নভেম্বরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ৭৭ বছর বয়সী জো বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক দল থেকে মনোনয়নের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে বাইডেনই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে বিবেচিত।
কিন্তু গতবছরের শুরুর দিক থেকেই বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার একের পর এক অভিযোগ উঠছে।
প্রথম অভিযোগটি করেছিলেন নেভাদার ডেমোক্রেটিক আইনসভা সদস্য লুসি ফ্লোরেস। তার অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালে এক রাজনৈতিক সভায় বাইডেন দৃষ্টিকটুভাবে তাকে মাথার পেছনে চুম্বন করেন।
এরপর আসে আরেক অভিযোগ। কেনাটিকেটের অ্যামি লাপোস নামের এক ডেমোক্র্যাটিক সমর্থক অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে এক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বাইডেন তাকে কাছে টেনে নিয়ে নাকে নাক ঘষার চেষ্টা করেছিলেন।
বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার এমন একের পর এক অভিযোগ করেছেন প্রায় ২৫ জন নারী। ফলে এ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ খোলার জন্য বাইডেনের ওপর দলের ভেতরে-বাহিরে চাপ বাড়ছিল।
শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে তিনি তারা রিডের সঙ্গে কোনোরকম যৌন অসদাচরণ করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, “এমন কিছু ঘটেনি এবং তিনি (রিড) কোনো অভিযোগ করেছেন বলেও মনে পড়ে না।”
১৯৯৩ সালের ওই সময়ে রিডের অভিযোগের কোনো রকম রেকর্ড আছে কিনা তা সিনেট আর্কাইভে খুঁজেও দেখতে বলেন বাইডেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা