যুব বান্ধব স্বাস্থ্যসেবার জন্য খুবই সচেতনভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। যুবদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে তারা সেবা ও কাউন্সিলর রাখার বাপারে চিন্তা করবেন, তাছাড়া স্যানিটারি ন্যাপকিন ফ্রিতে দেয়া এবং সেবা সহজ করতে নতুন ৫৩৫ জন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা পরবর্তী কার্য পরিকল্পনাতে যুবদের নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আরও কিভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন।
যুববান্ধব স্বাস্থ্যসেবার মান ও সময়সূচী বৃদ্ধিকরণে রাজধানীর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) একটি গোলটেবিল বৈঠক একথাগুলো বলেন পরিচালক (এমসিএইচ- সার্ভিসেস) ও লাইন ডাইরেক্টর (এমসি-আরএএইচ) ডা. মোহাম্মদ শরীফ। এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে সিরাক-বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং এর সময়সূচী বৃদ্ধির দাবী জানান তারা। সিরাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত এর সঞ্চালনায় উক্ত গোলটেবিল বৈঠক এ প্রধান অতিথি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ খ ম মহিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (এমসিএইচ- সার্ভিসেস) ও লাইন ডাইরেক্টর (এমসি-আরএএইচ) ডা. মোহাম্মদ শরীফ, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এমসিএইচ- সার্ভিসেস ইউনিট) ডা: মো: জয়নাল হক, লাইন ডাইরেক্টর (ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রোগ্রাম ইউনিট) ডাঃ মোঃ মঈনুদ্দীন আহমেদ, উপপরিচালক (ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রোগ্রাম ইউনিট) ডা: নুরুন নাহার বেগম।
আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনএফপিএ এর ফ্যামিলি প্ল্যানিং স্পেশালিষ্ট আবু সায়েদ মোহাম্মদ হাসান, এফপি২০২০ সিএসও ফোকাল পয়েন্ট বাংলাদেশ আবু জামিল ফয়সাল, মেরি স্টোপ্স বাংলাদেশ এর অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার মনজুন নাহার, প্যাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল এর অ্যাডলোসেন্ট স্পেশালিষ্ট ডা: ফাতেমা শবনম এবং নিয়ারস এর প্রতিনিধি ইমতিয়াজ পাভেল।
আবু জামিল ফয়সাল বলেন, স্থানীয় পর্যায় থেকে কিশোর কিশোরী ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এডভোকেসি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যুববান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের আরও যোগাযোগ ও প্রচার বাড়াতে হবে।
ডা: মো: জয়নাল হক বলেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এমসিএইচ- সার্ভিসেস ইউনিট), এফডাবলুভিতে সেকমোদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের ওরিয়েন্টেশোন এর ব্যবস্থা করেছে এবং যারা কাজ করছে। সারাদেশে যুব বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা মূলধারায় আনতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। সময় বাড়ানোর বিষয়টিও খুবই গুরুত্তপূর্ণ এবং এটি ভেবে দেখা যেতে পারে।
ডা: নুরুন নাহার বেগম বলেন, ডিমান্ড সাইড ও সার্ভিস সাইড, আমাদের কাজে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। যুব বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহের ম্যাপিং করতে হবে। ডাঃ মোঃ মঈনুদ্দীন আহমেদ বলেন, যুব বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য ও কেন্দ্রগুলো বন্ধুসুলভ এই দুটি পর্যায়ে কাজ হলেই যুববান্ধব স্বাস্থ্যসেবার সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে, তারা অবিবাহিতদের এখনও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত সেবা দিতে পারবেন না, তবে তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে বিধি নিষেদ নেই।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ খ ম মহিউল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিবার এর বয়স্ক ও মুরুব্বিদের সচেতন করতে হবে এবং তাদের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানাতে হবে। সেক্মোদের আরও ট্রেনিং প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলো প্রতিবন্ধিদের জন্য সহজতর করা সভ্যতার একটি অংশ। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রতে নয় সেবাগুলো সবার জন্য সহজ করতে অনলাইন ভিত্তিক সেবা চালু ও সার্বক্ষণিক সেবা ও পরামর্শ দেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার।
সিরাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত বলেন, কৈশোর বান্ধব সেবা কেন্দ্রের সময়সূচী ও মানোন্নয়ন এখন কিশোর-কিশোরীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবী। এ বিষয়ে আজ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আরও বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের ও এ বিষয়ে দাবী উথাপন করতে হবে।
আরও উপস্থিত ছিলেন সিরাক-বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার তাসনিয়া আহমেদ, এসোসিয়েট প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমিন রেশমা এবং সিরাক-বাংলাদেশের ডিভিশনাল কো-অরডিনেটর মোঃ জাওয়াদ হোসেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা