বাংলাদেশের বিচারক এবং কৌসুলিদের জন্য ১৩-১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একমশালা ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন হালনাগাদ করা এবং বাংলাদেশের আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণের ভবিষ্যত ব্যবহারকে এগিয়ে নেওয়ার স্থানীয় প্রচেষ্টায় সমর্থন যোগাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সোমবার “আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্ প্রমাণের ব্যবহার বিষয়ক সংলাপ” শীর্ষক চারদিনের এক কর্মশালার উদ্বোধন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের মাধ্যমে কর্মশালাটির আয়োজন করেছে সে দেশের দূতাবাস।কর্মশালাটি পরিচালনা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন ফেডারেল বিচারক ও তিনজন ফেডারেল কৌসুলি, যুক্তরাজ্যের একজন ফৌজদারি বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আইনের অধ্যাপক।বিশেষ পরিস্থিতিতে বর্তমানে ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণ অনুমোদিত এমন কিছু ট্রাইব্যুনাল থেকে আমন্ত্রিতরা একর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন। এরমধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল, সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এবং পরিকল্পনাধীন মানব পাচার বিরোধী ট্রাইব্যুনাল। আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী বিচারক ও কৌসুলি রা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন সেগুলো সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পেতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও এতে আমন্ত্রিত হয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।রাষ্ট্রদূত মিলার তার মন্তব্যে উল্লেখ করেন, বিচার কাজে ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণ ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের আদালত মহলে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে, কারণ এটি কৌসুলি এবং বিচারকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য প্রমাণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করবে।এছাড়া আরও দ্রুত অপরাধের বিচার করতে সহায়তা করবে ও মামলা জট কমাবে।ব্রিটিশ হাইকমিশনার চ্যাটার টনডিকসন বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণের বর্ধিত ব্যবহারের প্ সমর্থন ব্যক্ত করে উল্লেখ করেন, যথাযথভাবে ব্যবহার করা হলে এটি বিচার প্রশাসনের দক্ষতা এবং সততা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
মিথষ্ক্রিয়াভিত্তিক কর্মশালাটি বাংলাদেশের বিচারক এবং কৌসুলিদের আদালতে ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণের সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের বিষয়ে মৌলিক বিষয়গুলো অবগত করাবে।এটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উদ্বেগের সমাধান এবং তাদের মধ্যে অভিন্ন অবস্থানগুলো চিহ্নিত করবে যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণ চালু করার ভিত গড়ে তুলবে।কর্মশালায় যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশের আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণের গ্রহণযোগ্যতার বর্তমান অবস্থা, ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও আদালতে উপস্থাপনের জন্য বিধিমালা, ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণ সম্পর্কিত আপিল বিষয়ক উদ্বেগ এবং ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতামত চিহ্নিতকরণ ও উপস্থাপন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা