অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বে অফ বেঙ্গল সংলাপ ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
হাস বলেন, অন্যান্য অনেক দেশের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও চীনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বা জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক রয়েছে যা তারা বজায় রাখতে চায়। মার্কিন কূটনীতির ভিত্তি হচ্ছে পরস্পরের স্বার্থের জন্য অংশীদারিত্ব এবং সম্মান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন জলবায়ু থেকে কোভিড-১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সহজ কথায়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে অবশ্যই অদূর ভবিষ্যতে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত চীন সম্পর্কে মার্কিন অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য জাতিসংঘে সাম্প্রতিককালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণ উদ্ধৃত করেছেন। জো বাইডেন চীনের প্রসঙ্গে বলেছেন ‘আমরা শীতল যুদ্ধ চাই না’।
হাস মনে করেন, রাশিয়ার পদক্ষেপ উন্মুক্ত, আন্তঃসংযুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ এবং সহিষ্ণু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে অত্যন্ত চাপের সম্মুখীন কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
হাস বলেন, পুতিন যুদ্ধ বন্ধ করলে অশান্তি শেষ হবে। (কিন্তু) যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে, ইউক্রেন শেষ হয়ে যাবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্যদিকে চীনই একমাত্র দেশ যার অভিপ্রায় আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার এবং ক্রমবর্ধমানভাবে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তির পুনর্গঠন করতে পারে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত খুঁজছে না বরং প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে চাইছে।
হাস যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, সংক্রামক রোগ, বা মূল্যস্ফীতি ছাড়াও আন্তঃসীমান্ত সমস্যার প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য সারা বিশ্বের জনগণের দুর্ভোগের বিষয় তুলে ধরেছেন।
তিনি আরো বলেন, এসব অভিন্ন চ্যালেঞ্জ ভূ-রাজনীতির জন্য গৌণ নয়। এগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার একেবারে মূলে রয়েছে এবং অবশ্যই সেভাবে বিবেচনা করা উচিত।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা