অনলাইন ডেস্ক
ওয়ার্কারস পার্টির এই বিরল কংগ্রেসে কিম উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন। পারমাণবিক সাবমেরিনের পরিকল্পনা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
মার্কিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের সুসম্পর্ক ছিল। যদিও তাতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক প্রকল্পের ব্যাপারে খুব অল্প অগ্রগতিই এসেছিল।
উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে মাত্র অষ্টমবারের মতো ওয়ার্কারস পার্টির কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিম সেখানে বলেন, ‘বিরোধী শক্তি’ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা না করলে পিয়ংইয়ংও তা কেরবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিপ্লবে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় বাধা এবং আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। ক্ষমতায় যে-ই থাকুক না কেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাদের নীতির প্রকৃত রূপের পরিবর্তন কখনো হবে না।’
বক্তব্যে অস্ত্র সংগ্রহের ব্যাপারেও ইচ্ছা পোষণ করেন কিম। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দূর পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যা ভূমি অথবা সমুদ্র থেকে নিক্ষেপ করা যাবে এবং ‘সুপার-লার্জ ওয়ারহেডস’। উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটি সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে সক্ষম হয়েছে।
গত সপ্তাহে কিম স্বীকার করেন, তার পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।